ওয়াশিংটন: রাশিয়া-ইউক্রেনের যুৃদ্ধে (Russia-Ukraine War) ভারতের অবস্থান নিয়ে খুশি নয় আমেরিকা(USA)। তবে ভারত (India) যে দুই দেশের দ্বন্দ্বের মাঝে জড়াতে চাইবে না, এই বিষয়টিও আশাতীতই ছিল বলে জানানো হল আমেরিকার তরফে। শুক্রবারই হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিক জানান, ইউক্রেনের সঙ্কট নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে (United Nation) ভারত যে অবস্থান গ্রহণ করেছে, তা সন্তোষজনক নয়। তবে অতীতে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায়, এই অবস্থান বিস্মিত করে না।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ডিরেক্টর মীরা ব়্যাপ হুপার ওয়াশিংটনের স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের তরফে আয়োজিত একটি অনলাইন অনুষ্ঠানে বলেন, “রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ভারতের বিকল্প কোনও পথ গ্রহণ করা উচিত ছিল। আমি মনে করি রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা বা অবস্থান মোটেও সন্তোষজনক ছিল না। তবে এটা আশ্চর্য হওয়ার মতো বিষয়ও নয়।”
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কে ধীরে ধীরে উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে চিনকে একঘরে করতে কোয়াড সদস্য হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে ভারত। অন্যদিকে, রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অনেক পুরনো। দেশের সামরিক ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করতে মূলত রাশিয়া থেকেই অস্ত্র কেনে ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘেও এর আগে যে কোনও ভোটাভুটিতে ভারতের পক্ষই নিয়েছে রাশিয়া।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পুরনো সম্পর্কের খাতিরেই খোলাখুলিভাবে রাশিয়ার হামলা চালানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে না ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটি থেকেও বারংবার বিরত থেকেছে ভারত।
ভারতের এই অবস্থান নিয়ে কথা বলতে গিয়েই ওয়াশিংটনের প্রতিনিধি জানান, সম্প্রতিকালে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কারণেই রাশিয়ার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার একটা প্রচেষ্টা চলছে। এছাড়া সামরিক ক্ষেত্রেও ভারতের রাশিয়ার উপরে যে নির্ভরশীলতা রয়েছে, তাও বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। তিনি বলেন, “আমার মতে আমাদের দৃষ্টিকোণ এমন হওয়া উচিত, যাতে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে ভারতকে আরও কাছে রাখা যায় এবং কীভাবে বিকল্পও উপস্থাপন করা যায়, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হয়। ”