Imran Khan: ‘যাই-ই হয়ে যাক, পদ ছাড়ব না’, অনাস্থা প্রস্তাবের আগেই চরম হুঁশিয়ারি ইমরানের

Imran Khan to Face No Trust Motion: ইমরান খানের নিজের দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফের জোটসঙ্গীরাও ইমরানের বিপক্ষেই মত প্রকাশ করেছেন।

Imran Khan: 'যাই-ই হয়ে যাক, পদ ছাড়ব না', অনাস্থা প্রস্তাবের আগেই চরম হুঁশিয়ারি ইমরানের
সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঝামেলার জেরেই কি গদি হারাবেন ইমরান?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2022 | 12:41 PM

ইসলামাবাদ: চরম পরীক্ষার মুখে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। আজই প্রধানমন্ত্রীর পদ খোয়াতে পারেন তিনি। ২০১৮ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন ইমরান খান, এখনও মেয়াদ শেষ হয়নি তাঁর। এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধী নেতারা। সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন ইমরানের দলের সদস্যরাও। আজ পাকিস্তানের (Pakistan) সংসদে চূড়ান্ত ভোটাভুটি হবে, আর তাতেই ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।

বিরোধীরা পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করলেও, ইমরান খান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যাই-ই হয়ে যাক, তিনি গদি ছাড়বেন না। এই মর্মে বুধবার রাতেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে তিনি বলেছেন, “কুচক্রীদের চাপে পড়ে আমি কেন ইস্তফা দেব? বিনা যুদ্ধে আমি কোনওভাবেই আত্মসমর্পণ করব না।”

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের তরফে ১৫ পয়েন্টের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়, যে বিষয়গুলি নিয়ে আজ সংসদে আলোচনা করা হবে। এরমধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবও রয়েছে।

কেন ভরসা নেই ইমরানের উপরে?

অর্থনীতির বেহাল দশা, মুদ্রাস্ফীতি ও মূল্যবৃদ্ধির জেরে পাকিস্তানের আকাশে ভয়াবহ সঙ্কটের মেঘ ঘনাচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতেই রাজনৈতিক অবস্থানও টালমাটাল হয়ে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তাঁর দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফের। গত কয়েক মাসে ইমরান খানের বিরুদ্ধে উঠছে একের পর এক অভিযোগ। দেশের অর্থনীতি, বিদেশ নীতি কোন কিছুই তিনি সামলাতে পারছেন না। অন্যদিকে, পাক সেনাবাহিনীর সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক নেই ইমরান খানের। ইতিহাস বলছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর গদিতে টিকে থাকতে গেলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রাখতে হয়।

ইমরানের বিরোধী শিবিরে রয়েছে নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ, অন্যদিকে রয়েছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি। একদিকে, পাকিস্তান সেনার সঙ্গে ক্রমশ সম্পর্ক তিক্ত হচ্ছে ইমরান খানের। তাঁর নিজের দল পাকিস্তান-তেহরিক-ই-ইনসাফের জোটসঙ্গীরাও ইমরানের বিপক্ষেই মত প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের কোনও প্রধানমন্ত্রীই মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে পারেন না। ইমরানের ক্ষেত্রেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

অনাস্থা প্রস্তাবের পর প্রধানমন্ত্রী পদে টিকে থাকতে গেলে, সংসদের নিম্নকক্ষে মোট ৩৪২ সদস্যের মধ্যে ১৭২ জন সদস্যের সমর্থন পাওয়া জরুরি। যেহেতু দলের ২০ জন সদস্যই ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেছে, তাই ২০২৩ সাল অবধি তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন কিনা সন্দেহ।

আরও পড়ুন: China Plane Crash: ১ কিমি দূর থেকেও নাকে আসছে পচা গন্ধ, কাদামাটির ভিতরেই আটকে যাত্রীদের পচাগলা দেহ