কলের জলে নাক-মুখ ধুচ্ছেন? আপনার মস্তিষ্ক কুড়ে কুড়ে খেয়ে ফেলতে পারে এই প্রাণী…
Brain-Eating Amoeba: অ্যামিবা শরীরে প্রবেশ করার পর থেকেই স্নায়ু সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা যায় ওই মহিলার। ৪ দিনের মধ্যে জ্বর, মাথা ব্যথা, এমনকী মানসিক ভুলভ্রান্তি হতে শুরু করে। চিকিৎসককে দেখালেও, বিশেষ লাভ হয়নি।

ওয়াশিংটন: কলের জলেই মুখ ধুতে আমরা অভ্যস্ত। কখনও ভেবেছেন, এই কলের জল বা ট্যাপের জলে কী বিপদ লুকিয়ে রয়েছে? ভাবতে পারেন শুধু কলের জলে মুখ ধোয়ায় প্রাণ খোয়াতে হতে পারে? আপনার মস্তিষ্ক খেয়ে ফেলতে পারে এক প্রাণী!
সম্প্রতিই আমেরিকার টেক্সাসে ৭১ বছরের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। জানা যায়, ওই মহিলার মস্তিষ্কে বিরল এক সংক্রমণ হয়েছিল। আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানানো হয়েছে।
কী হয়েছিল?
ওই মহিলা টেক্সাসের একটি ক্যাম্পগ্রাউন্ডে আরভি (ভ্রাম্যমান বাড়ি)-তে থাকতেন। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থই ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি ওই ক্যাম্পের জল দিয়ে নাক ধুয়েছিলেন। এই সময়ই তাঁর শরীরে ঢুকে পড়ে নায়েগলেরিয়া ফোলেরি (Naegleria Fowleri)। এটি এক ধরনের অ্যামিবা, যা মস্তিষ্ক খেয়ে ফেলে।
অ্যামিবা শরীরে প্রবেশ করার পর থেকেই স্নায়ু সংক্রান্ত নানা সমস্যা দেখা যায় ওই মহিলার। ৪ দিনের মধ্যে জ্বর, মাথা ব্যথা, এমনকী মানসিক ভুলভ্রান্তি হতে শুরু করে। চিকিৎসককে দেখালেও, বিশেষ লাভ হয়নি। এরপরেই ওই মহিলার খিঁচুনি শুরু হয়। ৮ দিনের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হয়।
নায়েগলেরিয়া ফোলেরি হল এক ধরনের অত্যন্ত বিরল অ্যামিবা, যা প্রাণঘাতী সংক্রমণ হয়। সাধারণত নাকের মাধ্যমেই এই অ্যামিবা শরীরে প্রবেশ করে। সাঁতার কাটতে গিয়ে বা স্নানের সময় অ্যামিবা শরীরে ঢুকে পড়ে। অনেক সময় সর্দি বের করতে নাকে জল দিলেও, সেখান দিয়ে অ্যামিবা শরীরে ঢুকে পড়তে পারে।
সিডিসি পরীক্ষা করে আরভি-র জলের ব্যবস্থায় অ্যামিবার উপস্থিতি না পেলেও, জল যে পরিষ্কার ছিল না, তা উল্লেখ করা হয়েছে। সঠিকভাবে না ফোটানো জল ব্যবহার করলে এই সংক্রমণ হতে পারে। সেই কারণে ঝিল বা উষ্ণ প্রস্রবণে স্নান করা থেকে সাবধান করা হয়েছে।

