Nobel in medicine: মেডিসিনে নোবেল পাচ্ছেন অ্যামব্রোস ও রুভকুন! কী তাঁদের ‘যুগান্তকারী আবিষ্কার’?
Nobel in medicine: কীভাবে মানুষের ডিএনএর মধ্যে থাকা একই জেনেটিক তথ্য থেকে, মানুষের হাড়, স্নায়ু, ত্বক এবং হৃদপিণ্ডের কোষ-সহ বিভিন্ন ধরণের বিশেষ কোষের জন্ম হয়? মাইক্রো-আরএনএ বা এম-আরএনএ নিয়ে গবেষণার মাধ্যমে তারই ব্যাখ্যা দিয়েছেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী, ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন। ২০২৪ সালে, ফিজিওলজি বা মেডিসিনে নোবেল পুরষ্কার পেলেন তাঁরা।
স্টকহোম: ২০২৪ সালে, ফিজিওলজি বা মেডিসিনে নোবেল পুরষ্কার পাচ্ছেন দুই মার্কিন বিজ্ঞানী, ভিক্টর অ্যামব্রোস এবং গ্যারি রুভকুন। মাইক্রো-আরএনএ বা এম-আরএনএ নিয়ে তাঁদের অগ্রগামী গবেষণার কারণে এই স্বীকৃতি দেওয়া হল তাঁদের। পোস্ট-ট্রান্সক্রিপশনাল জিন নিয়ন্ত্রণে এম-আরএনএ-র বড় ভূমিকা রয়েছে। মেডিসিনে নোবেল বিজয়ীদের বাছাই করে সুইডেনের স্টকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি। তারা জানিয়েছে, এই দুই মার্কিন বিজ্ঞানীর যুগান্তকারী আবিষ্কার জিন নিয়ন্ত্রণের একটি সম্পূর্ণ নতুন নীতির খোঁজ দিয়েছে। এই নীতি বহুকোষী জীবদের জন্য অপরিহার্য। যার মধ্যে মানুষ-ও রয়েছে।
ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটের নোবেল অ্যাসেম্বলি আরও জানিয়েছে, কীভাবে মানুষের ডিএনএর মধ্যে থাকা একই জেনেটিক তথ্য থেকে, মানুষের হাড়, স্নায়ু, ত্বক এবং হৃদপিণ্ডের কোষ-সহ বিভিন্ন ধরণের বিশেষ কোষের জন্ম হয়, সেই সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছে অ্যামব্রোস এবং রুভকুনের গবেষণা। অভিন্ন জেনেটিক উপাদান থাকা সত্ত্বেও, কীভাবে এই বিভিন্ন টিস্যুগুলি বিকাশিত হয়, সেই জটিল প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করেছে তাঁদের কাজ। আর্থিক পুরস্কার হিসেবে মার্কিন বিজ্ঞানী জুটি ১ কোটি ১০ লক্ষ সুইডিশ ক্রাউন (প্রায় ৯,২৩,৬৭,৫০১ টাকা) পাবেন, যা তাদের মধ্যে সমানভাগে ভাগ করা হবে।
BREAKING NEWS The 2024 #NobelPrize in Physiology or Medicine has been awarded to Victor Ambros and Gary Ruvkun for the discovery of microRNA and its role in post-transcriptional gene regulation. pic.twitter.com/rg3iuN6pgY
— The Nobel Prize (@NobelPrize) October 7, 2024
রীতি অনুযায়ী, প্রথমেই মেডিসিনে প্রতিবছরের মতো, নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর একে একে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, সাহিত্য এবং শান্তিতে নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে, মেডিসিনে নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন হাঙ্গেরিয়ান-মার্কিন বায়োকেমিস্ট ক্যাটালিন কারিকো এবং মার্কিন ইমিউনোলজিস্ট ড্রু ওয়েইসম্যান। এমআরএনএ প্রযুক্তি বিষয়ে তাঁদের উল্লেখযোগ্য কাজের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। কোভিড-১৯-এর টিকার বিকাশে এমআরএনএ প্রযুক্তির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।