AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Indus Water Treaty Suspension Video: ভদ্রলোকের এক কথা, চেনাবের জল আটকাল ভারত! দেখুন সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো

Indus Water Treaty Suspension Video: ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগাঁওতে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে দিল্লি আগেই জানিয়েছিল স্থগিত রাখা হবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি।

Indus Water Treaty Suspension Video: ভদ্রলোকের এক কথা, চেনাবের জল আটকাল ভারত! দেখুন সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো
| Updated on: Apr 25, 2025 | 8:15 PM
Share

যেমন কথা তেমন কাজ। স্থগিত হয়ে গেল ভারত-পাকিস্তানের সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে পহেলগাঁওতে পর্যটকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে দিল্লি আগেই জানিয়েছিল স্থগিত রাখা হবে ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি। সেই মতোই বন্ধ হল রামবানে উপস্থিত চেনাব নদীর উপরে অবস্থিত বাগলিহার হাইড্রোইলেকট্রিক পাওয়ার প্রজেক্ট বাঁধ থেকে জল ছাড়া। প্রকাশ্যে সেই ভিডিয়ো।

প্রসঙ্গত, ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের উপস্থিতিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বৈঠকে নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভাল, এর আগে ৪ বার ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়ও কখনও কোনও প্রভাব পড়েনি এই চুক্তির ওপরে। ১৯৬০ সালের পরে এই প্রথম ছেদ পড়ল সেই চুক্তিতে।

পহেলগাঁওতে হামলার জবাবে, ভারত বুধবার কূটনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ ছিল ১৯৬০ সাল থেকে কার্যকর সিন্ধু জল বন্টন চুক্তি বন্ধ করা। এর আগে, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলা এবং ২০১৬ সালে উরি হামলার পরেও ভারত এই চুক্তির উপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। তবে, ২০১৬ সালে উরি হামলার পর সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে জল এবং রক্ত ​​একসঙ্গে প্রবাহিত হতে পারে না।

সিন্ধু জল বন্টন চুক্তিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞায় ক্ষুব্ধ পাকিস্তান। এই কাজকে অ্যাক্ট অব ওয়্যার বলেও গণ্য করা হবে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। পাক উপপ্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ইশাক দার বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠক শেষ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “এটা অনুচিত, পাকিস্তানের ২৪ কোটি মানুষ এই জলের উপর নির্ভর করে।” যদিও তাঁর বক্তব্যেই পাকিস্তানের দ্বিচারিতাও আরও স্পষ্ট হয়েছে। কারণ যেখানে পাক প্রধানমন্ত্রী এই হামলার বিরুদ্ধে কথা বলেন, সেখানে ইশাক দার পহেলগাঁওতে হামলাকারী জঙ্গিদের ‘স্বাধীনতা সংগ্রামী’ আখ্যা দেন।

ভারতের বিরুদ্ধেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য নিষিদ্ধকরণ, ভারতীয় বিমানের পাকিস্তানি আকাশসীমা ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ এবং ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করার মতো বড় সিদ্ধান্ত। যদিও আগেই ভারত পাকিস্তানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ করেছিল এমনকি আটারি-ওয়াঘা সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। তাঁরই সঙ্গে ভারতে থাকা পাকিস্তানি কূটনীতিক এবং নাগরিকদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।