ঢাকা: প্রতিবাদের শাস্তি গ্রেফতারি? সোমবার বাংলাদেশের বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। ইসকনের সাধু তথা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতে পাঠিয়েছে ইউনূস সরকার। কিন্তু কেন হঠাৎ গ্রেফতার করা হল ইসকনের সাধুকে? কীই বা তাঁর অপরাধ?
বাংলাদেশের অন্যতম পরিচিত হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। ইসকনের সঙ্গে যুক্ত থাকার পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোটের মুখপাত্র তিনি। বাংলাদেশে হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়েই বারেবারে সরব হয়েছেন তিনি। হিন্দুদের কাছে তিনি চিন্ময় প্রভু নামেই পরিচিত।
চিন্ময় কৃষ্ণের আসল নাম চন্দন কুমার ধর। চট্টগ্রামের পুণ্ডরিক ধামের প্রধান তিনি। শান্তির বার্তা দেওয়া ইসকনের সাধুই কী করে গ্রেফতার হলেন?
জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। তিনি সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনেছে ইউনূস সরকার। গত ৩০ অক্টোবর কোতয়ালি পুলিশ স্টেশনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তি। তার ভিত্তিতেই সোমবার ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশের পুলিশ। তাঁর জামিন না-মঞ্জুর করা হয়। মঙ্গলবার তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতে পাঠানো হয়।
ইসকনের তরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। ভারত সরকারকে মধ্যস্থতা করার আর্জিও জানিয়েছে ইসকন।