Pneumonia: চিনে মহামারীর আকার নিচ্ছে নিউমোনিয়া, গাইডলাইন জারি করল WHO
Pneumonia at China: রহস্যময় নিউমোনিয়া ২০১৯ সালেও চিনে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। সেই সময় চিনের উহান প্রদেশে প্রথমবারের মতো রোগটি প্রকাশ্যে আসে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, WHO এমনকি একটি পরামর্শ জারি করতে হয়েছিল। এ সময়ও আক্রান্তদের মধ্যে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণ ইত্যাদি দেখা গেছে।

নিউ ইয়র্ক: ফের মহামারীর আতঙ্ক! চিনে (China) নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে রহস্যময় নিউমোনিয়া (Pneumonia)। বছর তিনেক আগে করোনা মহামারীও চিনে সংক্রমিত হতে শুরু করেছিল এবং আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। স্বাভাবিকভাবে গোটা বিশ্বে আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করেছে। তিন বছর আগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেজন্য এখন থেকেই চিনের উপর বিশেষ নজর রেখেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। এটা কি করোনার পরিবর্তিত রূপ নাকি নতুন ভাইরাস? এমনই প্রশ্ন উঠছে। যদিও বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে এই বিষয়ে চিনের কাছ থেকে তথ্য-পরিসংখ্যান চেয়েছে হু। সতর্কতা জারি করে নির্দেশিকাও জারি করেছে হু।
নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো কী কী?
চিনে ছড়িয়ে পড়া রহস্যময় নিউমোনিয়ার লক্ষণগুলো করোনার মতোই। এছাড়াও জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট রয়েছে। বিশেষ করে এটি আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুসে আক্রমণ করে। এটি এতটাই বিপজ্জনক যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন। চিনা কর্মকর্তারা এই রোগের বিস্তারকে দায়ী করেছেন COVID-19 বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার জন্য। চিনা কর্মকর্তাদের মতে, এটি মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া যা শিশুদের প্রভাবিত করে।
WHO কি করছে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আনুষ্ঠানিকভাবে চিনের কাছে নিউমোনিয়ার কেস, কারণ এবং প্রভাব সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য চেয়েছিল যাতে বোঝা যায় এই নিউমোনিয়া কতটা বিপজ্জনক। যদি এটি কোভিডের মতো সংক্রামক হয়, তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা শুরু করা হবে, যাতে এটি চিনের বাইরে ছড়িয়ে না পড়ে। ডব্লিউএইচও-এর জরুরি কর্মসূচির ডাঃ কৃত্তিকা কুপ্পাল্লি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ পোস্ট করেছেন যে, এই রোগ যে কোনও কিছু হতে পারে। অনেক দেশে লকডাউন তুলে নেওয়ার পর শ্বাসকষ্টজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। তবে চিনে এর কারণ জানতে আরও তথ্যের প্রয়োজন। বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা চলছে।
WHO নির্দেশিকা জারি করেছে
চিনে ছড়িয়ে পড়া নিউমোনিয়া সম্পর্কে নির্দেশিকা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংিস্থা। জনগণকে সতর্কতা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জনগণকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এবং নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কাজ ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাইরে বেরোলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে এবং মাস্ক পরার নির্দেশিকা দিয়েছে হু।
এটা কি বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয়?
চিনে ছড়িয়ে পড়া এই নতুন রোগটি বিশ্বের জন্য হুঁশিয়ারি কিনা তা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বিষয়ে পুরোপুরি সক্রিয় রয়েছে। ২০১৯ সালে এই মরশুমেই চিনে করোনা মাথাচাড়া হয়েছিল, তারপরে এই ভাইরাসটি বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সেজন্য WHO যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই রোগের কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।
২০১৯ সালেও নিউমোনিয়া সংক্রমিত হয়েছিল
রহস্যময় নিউমোনিয়া ২০১৯ সালেও চিনে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল। সেই সময় চিনের উহান প্রদেশে প্রথমবারের মতো রোগটি প্রকাশ্যে আসে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, WHO এমনকি একটি পরামর্শ জারি করতে হয়েছিল। এ সময়ও আক্রান্তদের মধ্যে জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসে সংক্রমণ ইত্যাদি দেখা গেছে। যাইহোক, এটি সময়মত নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, শিশুদের মধ্যেই নিউমোনিয়ার প্রকোপ ছড়িয়েছে। এটিকে আরও বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। বর্তমানে উত্তর চিনে এর প্রকোপ বেশি। সেখানে স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে, যাতে এই সংক্রমণ বেশি না ছড়ায়।
