ইসলামাবাদ: দীর্ঘদিন ধরে তালিবানের (Taliban) ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই (ISI)। নতুন করে আফগানিস্তান (Afghanistan) তালিবদের দখলে চলে যাওয়ার পরও কাবুলে গিয়েছিলেন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ফইজ হামিদ (Faiz Hameed)। কিন্তু তালিবানের ওপর একা আইএসআই-এর এই প্রতিপত্তি মোটেই ভালো নজরে দেখছে না পাক সেনা। সূত্রের খবর, নতুন করে তাই এই ইস্যুতে তৈরি হয়েছে দ্বন্দ্ব। সেই সংঘাত এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে, আইএসআই প্রধানের পদ থেকে ফইজ হামিদকে সরাতে উদ্যত হয়েছেন পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া (Qamar Javed Bajwa)। কিন্তু পাকিস্তানের অত্যন্ত প্রভাবশালী এই গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা মুখের কথা নয়।
আসলে তালিবান বহুদিন ধরেই চলে আইএসআই-এর অঙ্গুলিহেলনে। আফগানিস্তানে কী ভাবে চলবে তালিবানি সরকার, তা নিয়েও উৎসাহে খামতি নেই গোয়েন্দা সংস্থার। তবে পাক সেনা চাইছে, আফগানিস্তান নিয়ে তাদের মতামতও শোনা হোক। কিন্তু তালিব নেতাদের সঙ্গে আইএসআই-এর বহু পুরনো সম্পর্ক। সেখানে প্রবেশ করতে রীতিমতো বেগ পেতে হচ্ছে সেনাবাহিনীকে। শুধু তালিবান নয়, হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে আইএসআই-এর সখ্যতাও পাক সেনা ভাল চোখে দেখছে না।
চলতি মাসেই কাবুল সফরে গিয়েছিলেন আইএসআই-এর ডিজি ফইজ হামিদ। তালিবানের সরকার গঠনে তাঁর বিশেষ ভূমিকা ছিল বলেই জানা যায়। সেখান থেকে ফিরে তিনি একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। চিন, রাশিয়া ও এশিয়ার আরও পাঁচটি দেশের গোয়েন্দা প্রধানেরা সেই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন। মূলত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। উপস্থিত ছিল কাজাখস্থান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, ইরান ও উজবেকিস্তানের প্রতিনিধিরা।
জানা যায়, তালিবানের আমন্ত্রণেই কাবুল সফরে গিয়েছিলেন আইএসআই-এর ডিজি। আফগানিস্তানের নিরাপত্তা, অর্থনীতি, বাণিজ্য ও পাকিস্তানের সঙ্গে তালিবানি সরকারের সমীকরণ নির্নয় করতেই তিনি কাবুলে গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তিনি কাবুল থেকে ফেরার পরই তালিবান নয়া সরকারের বিভিন্ন পদ ঘোষণা করে। শুধু তাই নয়, তিনি কাবুল সফর সেরে আসার পরই পঞ্জশীরে প্রবেশ করতে সফল হয় তালিবান। তাই আফগানদের একাংশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন: Chinese Hacker: ভারতের আধার ‘ডেটা’ চিনের হাতে! প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট