
ওয়াশিংটন: ভারতের উপর ৫০শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে আমেরিকার দাদাগিরি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্তে নিজের দেশেই বিতর্ক-বিদ্ধ ট্রাম্প। ডেমোক্রাটরা তুমুল সমালোচনা করে ট্রাম্প প্রশাসনের। রাশিয়ার থেকে তেল কেনায় কেন ভারতের উপরেই একা শুল্ক চাপানো হচ্ছে? চিনের উপরে কেন শুল্ক চাপানো হয়নি, এই প্রশ্ন তোলেন তারা।
মার্কিন বিদেশ বিষয়ক কমিটির ডেমোক্র্যাট সদস্যরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ট্রাম্প প্রশাসনের তুমুল সমালোচনা করে বলেন যে রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য কেন একা ভারতকে নিশানা করা হচ্ছে, যেখানে চিন রাশিয়া থেকে ক্রুড তেলের সবথেকে বড় আমদানিকারক। অথচ চিনের উপরে কোনও শুল্ক চাপানো হয়নি। ডেমোক্রাটদের দাবি, ভারতীয় পণ্যের উপরে ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শুল্ক আসলে আমেরিকানদেরই আঘাত করছে এবং ভারত-আমেরিকা সম্পর্কের ক্ষতি করছে, যা দশকের পর দশক ধরে গড়া হয়েছে।
ডেমোক্রাট প্য়ানেলের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “চিন বা অন্য কোনও দেশের উপরে শুল্ক বা নিষেধাজ্ঞা চাপানোর বদলে একা ভারতের উপরে শুল্ক চাপিয়ে নিশানা করা হচ্ছে। এটা মোটেও ইউক্রেনের জন্য লাগছে না।”
তারা প্রশ্ন তোলেন, “ভারতের উপর শুল্ক চাপিয়ে কি আদৌ পুতিনকে থামানো যাবে? বাস্তবে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে চাইলে কিভে সেনা পাঠাক ট্রাম্প”। বলেন, “যদি ট্রাম্প প্রশাসন সমস্ত দেশের উপরই স্যাংশন বসাতেন রাশিয়ার থেকে তেল কেনার জন্য, তাহলে এক বিষয় ছিল। কিন্তু শুধুমাত্র ভারতকেই নিশানা করা হয়েছে, যা সবথেকে বিভ্রান্তিকর নীতি। চিনের উপরে তো কোনও শুল্ক চাপানো হয়নি।”
ভারতের উপরে গত মাসেই ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরে হঠাৎ তিনি সেই শুল্ক দ্বিগুণ করে দেন। এর স্বপক্ষে যুক্তি দেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় যেখানে রাশিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হচ্ছিল, সেই সময় ভারত কম দামে রাশিয়া থেকে তেল কিনেছে। সেই অর্থ রাশিয়া ব্যবহার করেছে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে।
আমেরিকার এই যুক্তি মানতে নারাজ ভারত। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। তাতেও সিদ্ধান্ত বদল করেননি ট্রাম্প। বুধবার, ২৭ অগস্ট থেকে ভারতের উপরে ৫০ শতাংশ শুল্ক জারি হয়েছে। আমেরিকার এই ৫০ শতাংশ শুল্কে ভারতের রফতানি বাণিজ্যে আনুমানিক ৪৮০ কোটি ডলারেরও বেশি ক্ষতি হতে পারে।