জেনেভা: আর বেশিদিন অপেক্ষা নয়, আগামী সপ্তাাহেই কোভ্যাক্সিন(Covaxin)-র অনুমোদন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, এমনটাই টুইট করে জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization)। কোভ্যাক্সিন টিকাপ্রাপ্ত বিদেশযাত্রীদের যে চরম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে, দ্রুত তার সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
হায়দরাবাদের ভারত বায়োটক (Bharat Biotech) সংস্থার তৈরি এই ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করোনা টিকা। ভারতে এই ভ্যাকসিনের জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমতি মিললেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন বা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োগের অনুমতি পায়নি কোভ্যাক্সিন। এরফলে দেশের অন্দরে কোনও সমস্যা না হলেও, বিদেশযাত্রীদের চরম সমস্য়ার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। তাদের টিকাপ্রাপ্ত হিসাবে গণ্য না করায় কোয়ারেন্টাইনের(Quarantine) বিধি মেনেই চলতে হচ্ছে।
গত জুন মাসেই অনুমোদনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার কাছে আবেদন জানানো হলেও, ২৭ সেপ্টেম্বর টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত বায়োটেককে অতিরিক্ত কিছু তথ্য় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় হু। সংস্থাও সেই নির্দেশ মেনে তথ্য জমা দেয়। এরপরই মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জ ও বিভিন্ন স্বাধীন বিশেষজ্ঞের দল যখন একত্রিত হবেন বৈঠকে, সেই সময় কোভ্যাক্সিনের অনুমোদন অন্যতম আলোচ্য বিষয় হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, “আগামী সপ্তাহেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের একটি দলের বৈঠক হওয়ার কথা। ওই বৈঠকে টিকার ঝুকি ও উপযোগিতা নিয়ে পর্যালোচনার পর কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ভিত্তিতে টিকা প্রদানের তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হবে কিনা, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
অপর একটি টুইটে জানানো হয়, ভারতবায়োটেক সংস্থাকে যে তথ্যগুলি জমা দিতে বলা হয়েছিল, তা গত ২৭ সেপ্টেম্বর তারা জমা দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে সেই তথ্যগুলিরই পর্যালোচনা করছে এবং টিকা সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর ওই জমা দেওয়া তথ্যে রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই পর্যালোচনা আগামী সপ্তাহেই চূড়ান্ত করা হবে।
তৃতীয় দফার ট্রায়াল শেষের আগেই ভারতে জরুরিভিত্তিতে টিকা প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছিল কোভ্যাক্সিন। ট্রায়াল পর্ব শেষ করার পরই ভারত বায়োটেক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, তৃতীয় দফার ট্রায়ালে কোভ্যাক্সিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন না থাকায় একাধিক দেশেই এই টিকা গ্রহণযোগ্য নয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সূত্রে খবর, সংস্থাতে ছাড়পত্রের জন্য জমা পড়া কোনও কিছু বা জরুরি ভিত্তিতে ছাড়পত্র চেয়ে কোনও আবেদন জমা পড়লে, সেক্ষেত্রে চুড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়। ছাড়পত্র বা অনুমোদনের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে যদি কোনও পণ্য জমা পড়ে সেক্ষেত্রে সেই পণ্য অনুমোদনের বিষয়টি ক্রমান্বয়ে প্রকাশ করে হু। হু -এর মতে জরুরি ব্যবহার তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়ার সময়কাল নির্ভর করে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকের জমা দেওয়া তথ্যের গুণমান এবং হু -এর মানদণ্ড পূরণকারী তথ্যের গুনমানের ওপর।
আরও পড়ুন: Lakhimpur Violence: শান্তি বজায় রাখতেই অনড় যোগী সরকার, লখিমপুরে ঢুকতে পারবেন না রাহুলও