দুর্নীতির অভিযোগে নাস্তানাবুদ হয়ে ইস্তফা নীতীশের ‘দেড় ঘণ্টার শিক্ষামন্ত্রী’র

TV9 বাংলা ডিজিটাল: শুরুতেই ছন্দপতন নীতীশের (Nitish Kumar)  নয়া ইনিংসে। বলা ভাল, প্রথম বলেই খোঁচা দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন নীতীশের মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য়। শপথ নেওয়ার ৩ দিনের মাথায় ইস্তফা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী (Bihar Education Minister) মেওয়ালাল চৌধুরী (Mewalal choudhary)। দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র দেড় ঘণ্টা মন্ত্রিত্বের ‘স্বাদ’ নেওয়ার সুযোগ পেলেন তিনি। শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে মেওয়ালাল চৌধুরির নাম […]

দুর্নীতির অভিযোগে নাস্তানাবুদ হয়ে ইস্তফা নীতীশের 'দেড় ঘণ্টার শিক্ষামন্ত্রী'র
বিহারের শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 7:20 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: শুরুতেই ছন্দপতন নীতীশের (Nitish Kumar)  নয়া ইনিংসে। বলা ভাল, প্রথম বলেই খোঁচা দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলেন নীতীশের মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য়। শপথ নেওয়ার ৩ দিনের মাথায় ইস্তফা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী (Bihar Education Minister) মেওয়ালাল চৌধুরী (Mewalal choudhary)। দায়িত্ব নেওয়ার পর মাত্র দেড় ঘণ্টা মন্ত্রিত্বের ‘স্বাদ’ নেওয়ার সুযোগ পেলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে মেওয়ালাল চৌধুরির নাম ঘোষণার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল নীতীশের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে। রাজ্যের বিরোধী দল আরজেডি ‘রেডিমেড হাতিয়ার’ পেয়ে গিয়েছিল। সেই মতো ধারালো আক্রমণও শুরু করেছিলেন তাঁরা। ফলে শুরুতেই বিপাকে পড়ে গিয়েছিল নীতীশের সরকার।

বিহারের তারাপুর বিধানসভা কেন্দ্রের এই বিধায়কের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছিল। ভাগলপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে সহ-অধ্যাপক এবং জুনিয়র বিজ্ঞানীদের পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি (Corruption) করার অভিযোগ ওঠে। ২০১৭ সালে এই দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। যদিও মেওয়ালাল চৌধুরী সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেন। এমন কী নির্বাচনে লড়ার আগে হলফনামাতেও কমিশনের কাছে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি ‘উহ্য’ রাখেন।

আরও পড়ুন: করোনার কোপে ভারতের আর্থিক ক্ষতিই সবচেয়ে বেশি, ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে অনেকটাই

২০১৭ সালে এই দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর মেওয়ালাল চৌধুরীর এক ভাইপোকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তৎকালীন রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দ নির্দেশ দেওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়। যদিও আজ পর্যন্ত সেই মামলার চার্জশিট জমা পড়েনি। একই বছর মেওয়ালাল চৌধুরিকে জেডিইউ থেকে সাসপেন্ডও করা হয়। বিরোধী আসনে থাকার সময় বিজেপির পক্ষ থেকে তাঁকে গ্রেফতারের দাবিও তোলা হয়েছিল একাধিকবার।