বিপ্লব কি পারবেন কুর্সি বাঁচাতে? হেস্তনেস্ত করতে ডাক এল দিল্লি থেকে

মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী দু'বার করে দিল্লিতে গিয়ে নালিশ করে এসেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সম্ভবত চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন জেপি নাড্ডা। সঙ্গে তলব করা হয়েছে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ও বিপ্লব দেবের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সমর্থক জিষ্ণু বর্মণকে

বিপ্লব কি পারবেন কুর্সি বাঁচাতে? হেস্তনেস্ত করতে ডাক এল দিল্লি থেকে
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 8:45 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: বিপ্লব দেব (Biplab Dev) ত্রিপুরার (Tripura) মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কিনা তা নিয়ে এবার একটা হেস্তনেস্ত হতে চলেছে। আগামী ২৩ নভেম্বর দিল্লি ডেকে পাঠানো হয়েছে বিপ্লবকে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তাঁর বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী দু’বার করে দিল্লিতে গিয়ে নালিশ করে এসেছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সম্ভবত এবার চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। সঙ্গে তলব করা হয়েছে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী ও বিপ্লব দেবের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর সমর্থক জিষ্ণু বর্মণকেও।

পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় রোড থেকে ডাক আসায় বিপ্লব বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হঠাৎই কিছুটা অক্সিজেন পেয়েছে। বিশেষ করে, মুখ্যমন্ত্রীর সর্বশেষ মন্তব্য ‘শয়তান ও রাজা’ কাণ্ডে ত্রিপুরার রাজনৈতিক মহলে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন বিজেপির (BJP) একের পর এক বিধায়ক। কেউ ‘তাঁকে’ স্বঘোষিত রাজা বলেছেন, আবার কেউ মস্করা করে ছড়া কাটছেন। শুক্রবার বিজেপি বিধায়ক রামপ্রসাদ পালের মন্তব্যই কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছে, দলীয় কোন্দল কোন জায়গায় পৌঁছেছে। তিনি লিখেছেন, রাজনীতিতে এসে সমাজ সেবা করতে চেয়েছিলাম। তিলে তিলে বিজেপি দলটাকে তৈরি করেছিলাম সমাজ সেবার জন্যই। কিন্তু এখন অহংকারী ব্যক্তির নিকৃষ্ট নীতির কারণে সব দিকে শুধুই অন্ধকার আর অন্ধকার।’

এত কিছু সত্ত্বেও একটা অবাক করার মত বিষয় নজরে পড়েছে। ত্রিপুরা বিজেপির অন্দরে যে ফাটল তৈরি হয়েছে তা চাপা দেওয়ার চেষ্টা তো কোন নেতা করছেন না-ই, উল্টে ক্ষোভ উস্কে দিচ্ছেন। দলে এমন পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যে বিপ্লব দেবকে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী পদে কতদিন দেখা যাবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন রাজনীতির কারবারিরা।

আরও পড়ুন: অতিমারি আবহেও কর্মসংস্থানের দ্বার খুলল রাজ্য, শিক্ষক পদে নিয়োগ ডিসেম্বরের মধ্যেই

আরও একটি বিষয় রাজ্যবাসীর নজর কেড়েছে। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে বিজেপি ক্ষমতায় আসার মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী নীতি দেব রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তা ব্যবহার করতেন। কিন্তু গত অক্টোবর মাসে তিনি হঠাৎ নিরাপত্তা ত্যাগ করেন। এর কারণ নীতি ফেসবুকে ব্যাখ্যা করলেও রাজ্যবাসী তা সহজে মানতে পারেনি। বিপ্লব জায়া লিখেছিলেন, যে টাকা তাঁর নিরাপত্তার পেছনে রাজ্য সরকার খরচ করছে, তা যেন এই অতিমারির সময় রাজ্যবাসীর জন্য ব্যবহার হয়। নীতিদেবীর এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য মহৎ হলেও তা নেওয়ার সময়টা ছিল বড্ড বেমানান। জল্পনা তখন থেকেই শুরু হয়েছিল বিপ্লব দেবের কুর্সির ভবিষ্যৎ নিয়ে। যার অবসান হয়তো আর কয়েকদিনের মধ্যেই হতে পারে।