“আমি নিশ্চিত ৩-৪ মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে” বললেন হর্ষবর্ধন

গত ১১ মাস যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, তার প্রশংসায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্বের যে দেশগুলি খুব কম সময়ে এই ভাইরাসের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে, তারমধ্যে ভারত অন্যতম একটি দেশ।"

আমি নিশ্চিত ৩-৪ মাসের মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে বললেন হর্ষবর্ধন
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 2:37 PM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: আগামী তিন-চার মাসেই পাওয়া যাবে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন (COVID-19 Vaccine), এই বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী (Union Health and Family Welfare Minister) ডঃ হর্ষবর্ধন (Dr Harsh Vardhan)। আজ একটি অনলাইন আলোচনাসভায় তিনি জানান, ১৩৫ কোটি দেশবাসীর মধ্যে ভ্যাকসিনের অগ্রাধিকার বৈজ্ঞানিক মূল্যায়নের ভিত্তিতেই স্থির করা হবে।

FICCI FLO-র তরফে আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে (Webinar) “কোভিড চলাকালীন ও পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্য়ব্যবস্থায় পরিবর্তন” (The Shifting Healthcare Paradigm During and Post-Covid) বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বলেন,”আমি নিশ্চিত যে আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে। ভ্য়াকসিন বিতরণে অগ্রাধিকারের বিষয়টি বৈজ্ঞানিক তথ্যের উপর নির্ভর করে স্থির করা হবে। স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা যোদ্ধাদেরই স্বাভাবিকভাবে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে এবং তারপর বয়স্ক ও যাদের সংক্রিত হওয়ার আশঙ্কা বেশি, তাদের ভ্য়াকসিন দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন বিতরণের জন্য একটি বিস্তারিত পরিকল্পনা করা হচ্ছে। একটি ই-ভ্য়াকসিন ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম ( e-vaccine intelligence platform)-ও তৈরি করা হয়েছে নকশা পরিকল্পনা ও আলোচনার জন্য।”

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-র ঘোষিত জনতা কারফিউ (Janta Curfew) অত্যন্ত উদ্ভাবনী ও অনন্য একটি প্রচেষ্টা ছিল। দেশজুড়ে জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেছিল। প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে লকডাউন (Lockdown) জারি ও পরবর্তী সময়ে আনলক প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয় সরকারের অত্যন্ত সাহসী কিছু পদক্ষেপ ছিল। প্রতিটি পরিস্থিতিই খুব ভালোভাবে সামাল দেওয়া হয়েছে। সরকার এই লড়াইয়ে অত্যন্ত সক্রিয় ছিল। প্রতিটি বিমানবন্দর, বন্দর ও সীমান্তগুলিতেও কড়া নজরদারি চালানো হয়েছিল।”

আরও পড়ুন: সুখবর দিল ফাইজ়ার, বছর শেষের আগেই আসছে ৫ কোটি ভ্যাকসিন

গত ১১ মাস যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, তার প্রশংসায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বিশ্বের যে দেশগুলি খুব কম সময়ে এই ভাইরাসের প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে, তারমধ্যে ভারত অন্যতম একটি দেশ। তিনি বলেন,”শুরুর দিকে আমাদের কাছে পিপিই কিট(PPE Kit), ভেন্টিলেটর(Ventilator) ও এন-৯৫ মাস্কের (N-95 Mask)অভাব ছিল। তবে কয়েক মাসের মধ্যেই বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে সেগুলি আমদানি করে অভাব পূরণ করা হয়েছে। ভ্য়াকসিনের গবেষণাতেও আমাদের দেশের বিজ্ঞানীরা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। কয়েকমাসের মধ্য়েই আমরা করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে প্যারামিটার স্থির করে দিয়েছে, তার প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের ফলাফল দুর্দান্ত। আমাদের দেশে সুস্থ হওয়ার হার সর্বোচ্চ ও মৃত্যুর হার সবথেকে কম। দেশের প্রতিটি কোণায় রয়েছে করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র, দেশজুড়ে মোট ২১১৫টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে ২০ লাখের বেশি নির্দিষ্ট বেড। এটি প্রমাণ করে যে ভারত যখন কোনও বিষয়ে সফল হবে বলে স্থির করে, তখন তা করেই ছাড়ে।”

প্রধানমন্ত্রীর সুরেই তিনিও ২০২২ সালে দেশবাসীকে এক নতুন ভারত উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।”প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন অনুযায়ীই ২০২২ সালে এক নতুন ভারত আনব আমরা।”