‘এমার্জেন্সি’ নিয়ে প্রায়শই কটাক্ষ করেন, আজ ইন্দিরাকে শ্রদ্ধা নমোর

TV9 বাংলা ডিজিটাল: বিরোধীরা বাক স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন করলেই প্রধানমন্ত্রী উদাহরণ টানেন জরুরি অবস্থার কথা। ঘটা করে ‘এমার্জেন্সির’ বর্ষপূর্তি উদযাপন করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, ওই ঘটনার ‘কারিগর’ প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi) কতটা বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী ছিলেন। তাঁর জমানায় গ্রেফতার হতে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)কে। সে দিনে গ্রেফতারি এড়িয়ে যাওয়া সেই ছদ্মবেশি শিখ যুবক […]

'এমার্জেন্সি' নিয়ে প্রায়শই কটাক্ষ করেন, আজ ইন্দিরাকে শ্রদ্ধা নমোর
Follow Us:
| Updated on: Nov 19, 2020 | 11:52 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: বিরোধীরা বাক স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন করলেই প্রধানমন্ত্রী উদাহরণ টানেন জরুরি অবস্থার কথা। ঘটা করে ‘এমার্জেন্সির’ বর্ষপূর্তি উদযাপন করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, ওই ঘটনার ‘কারিগর’ প্রয়াত ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi) কতটা বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী ছিলেন। তাঁর জমানায় গ্রেফতার হতে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)কে। সে দিনে গ্রেফতারি এড়িয়ে যাওয়া সেই ছদ্মবেশি শিখ যুবক তথা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন ইন্দিরা গান্ধী (Indira Gandhi)-র ১০৩ তম জন্মদিনে।

Narendra Modi paying tribute on Indira Gandhi's birth anniversary

ভারতবর্ষের প্রথম এবং একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গান্ধী। ১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর উত্তর প্রদেশের এলাহাবাদে (বর্তমানে প্রয়াগরাজ) জন্মগ্রহণ করেন তিনি। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর কন্যা ইন্দিরা ছোট থেকেই রাজনীতির আবহে বেড়ে উঠেছিলেন। একজন প্রাজ্ঞ রাজনীতিকের সবরকম গুণই তাঁর মধ্যে খুঁজে পেয়েছিল দেশ। রূপের পাশাপাশি ক্ষুরধার বুদ্ধিমত্তাতেও অনায়াসে অন্যদের ছাপিয়ে যেতেন তিনি। বাবার ছায়াসঙ্গী হয়ে বেড়ে ওঠা, বিদেশে পড়াশোনা, ফিরোজ গান্ধীর সঙ্গে আলাপ, বিয়ে, সঞ্জয়-রাজীবের জন্ম-এক বর্ণময় যাপনচিত্র তাঁর। আজও ইন্দিরা (Indira Gandhi) নামে একইরকম আগ্রহ তৈরি হয় ভারতীয়দের মনে।

এদিন ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ করেন পুত্রবধূ সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। মায়ের সঙ্গে ছিলেন রাজীব-পুত্র রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)ও। তিনিও শ্রদ্ধা জানান। পরে রাহুল টুইট করেন, ‘শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীজির জন্মজয়ন্তীতে তাঁকে শ্রদ্ধা। তিনি একজন সুযোগ্য প্রধানমন্ত্রীই ছিলেন না, শক্তির প্রতীকও ছিলেন। তাঁর নজরকাড়া নেতৃত্ব আজও দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করে। তবে আমি চিরকাল তাঁকে আমার আদরের ঠাকুমা হিসাবেই মনে রাখব। তাঁর শিক্ষা আমাকে প্রতিমুহূর্তে অনুপ্রেরণা দেয়।’

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুনেই জরুরি অবস্থা (Emergency)-এর ৪৫ বছর পূর্তি হয়। ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন ভারতে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেস সরকার। এই জরুরি অবস্থা নিয়ে সবথেকে বেশি সরব হয়েছে বিজেপি। দেশে জরুরি অবস্থা চলাকালীন আরএসএস’র তাবড় নেতারা জেলবন্দি হন। ঘোষণা করা হয়, এই সব নেতাদের সঙ্গে কোনও প্রচারক যদি দেখা করতে জেলে যান, তাঁদেরও গ্রেফতার করা হবে। সেই সময় মাথায় পাগড়ি, মুখ ভর্তি গোঁফ-দাড়ি, গালপাট্টা লাগিয়ে শিখ যুবক সেজে জেলে গিয়ে নেতাদের সঙ্গে দেখা করতেন মোদী। চলতি বছর ২৫ জুন দেশজুড়ে কালা দিবস পালন করে বিজেপি।

আরও পড়ুন: সুখবর দিল ফাইজ়ার, বছর শেষের আগেই আসছে ৫ কোটি ভ্যাকসিন

১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত একটানা ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৮০ সাল থেকে ফের আমৃত্যু তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর দেহরক্ষীর গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল তাঁর দেহ। রক্তে ভেসে গিয়েছিল তাঁর বাসভবনের উদ্যান-পথ। নৃশংস সেই হত্যাকাণ্ডের স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াচ্ছে নতুন দিল্লির ১ নম্বর সফদরজং রোড।