দুধের সরে ফুটে উঠল প্রীতিলতা, লক্ষ্মীবাঈ, ক্ষুদিরামের মুখ
এই অলস লকডাউনে মা প্রতিদিন এক গেলাস করে দুধ রেখে যেতেন তাঁর সামনে। রোজই দুধ পড়ে থাকত দুধের মতো। ঠান্ডা হতো, ঘন সর পড়ে যেত তাতে।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: বাটি ভর্তি দুধ। ঘন সর পড়া। সেই সরেই তুলির টানে কিশোরী জাহ্নবী বসাক কখনও ফুটিয়ে তোলেন শহিদ ক্ষুদিরাম, ভগৎ সিংয়ের মুখ। কখনও আবার প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার কিংবা লক্ষ্মীবাঈয়ের মুখ। এই শিল্পকীর্তিই তাঁকে সুযোগ করে দিল ‘ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস’-এ নাম তোলার। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের জাহ্নবীর সেই কীর্তি এখন ভাইরাল।
বালুরঘাট শহরের একটি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী জাহ্নবী বসাক। বাড়ি সুভাষ কর্নার এলাকায়। দীর্ঘ লকডাউনে বাড়িতে সময়ই কাটছিল না। ছবি আঁকতে ভালবাসেন আগাগোড়াই। তবে দুধের বাটিতে যে তাঁর প্রতিভার বিচ্ছুরণ হবে তা তিনি নিজেও কল্পনা করতে পারেননি। এই অলস লকডাউনে মা প্রতিদিন এক গেলাস করে দুধ রেখে যেতেন তাঁর সামনে।
আরও পড়ুন: আমন ধানের লোভে হাজারিবাগ থেকে পুরুলিয়ায় হাতির দল
রোজই দুধ পড়ে থাকত দুধের মতো। ঠান্ডা হতো, ঘন সর পড়ে যেত তাতে। একদিন হঠাৎই জাহ্নবী ভেবে বসলেন , এই দুধের সরেই তিনি তুলি বোলাবেন। কী অদ্ভূত! একে একে সেই সরেই ফুটে উঠল সাত ‘ক্ষণজন্মা’ বাল গঙ্গাধর তিলক, ভগৎ সিং, রানি লক্ষ্মীবাঈ, শ্রী অরবিন্দ, ক্ষুদিরাম বসু, প্রফুল্ল চাকী, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের মুখের আদল। নানা রঙের মিশেলে জাহ্নবীর প্রতিটি সৃষ্টিই অসামান্য।
আরও পড়ুন: শীতের আমেজ বাংলায়, শীতকাল কি এসেই গেল!
এরপরই ঠিক করেন ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস-এ নাম পাঠাবেন। সম্প্রতি ই-মেল মারফৎ তারা জানিয়েছে, জাহ্নবীর ছবিগুলি রেকর্ড তৈরি করেছে। এমন সাফল্যে শুধু জাহ্নবীই খুশি নন, আপ্লুত তাঁর পরিবার, স্বজন-প্রতিবেশী সকলেই।