নিজের বিয়ে রুখতে ১২কিমি হেঁটে বিডিও-র দারস্থ নাবালিকা, মিলল বীরাঙ্গনা পুরস্কার

১৬ বছরের নূরবানু খাতুনের এর আগেও বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তাঁর পরিবারের সদস্য়রা। এবারও একই প্রচেষ্টা করা হলে নিজেই বিডিও-র কাছে হাজির হয়ে অভিযোগ জানায়।

নিজের বিয়ে রুখতে ১২কিমি হেঁটে বিডিও-র দারস্থ নাবালিকা, মিলল বীরাঙ্গনা পুরস্কার
শিশুদিবসে তুলে দেওয়া হল বীরাঙ্গনা পুরস্কার।
Follow Us:
| Updated on: Nov 27, 2020 | 6:55 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: সাবালিকা হতে এখনও দেরি। এরইমধ্যে বাড়ি থেকে বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে। অথচ নারাজ পাত্রী, নিজের বিয়ে রুখতে ১২ কিমি হেঁটে বিডিও-র বাড়িতে হাজির হল সে। মুর্শিদাবাদ(Murshidabad)-র প্রত্যন্ত এক গ্রামের বাসিন্দা এই নাবালিকার অসীম সাহসকে বাহবা জানিয়ে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে শিশুদিবসে দেওয়া হল বীরাঙ্গনা পুরস্কার(Virangana award West Bengal Government))। যদিও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেনি ওই নাবালিকা(Minor girl), তাঁর হয়ে পুরস্কার গ্রহণ করেন জেলা আধিকারিক জারিন বিবি।

ঠিক কী হয়েছিল? মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামে প্রদীপডাঙার বাসিন্দা নূরবানু খাতুন(১৬)। এর আগেও তিনবার বাড়ি থেকে তাঁর বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও তা আটকে দেয় নূরবানু। এবারও বিয়ে ঠিক করলে প্রতিবাদ জানায় সে, কিন্তু বাড়ির লোক শুনতে নারাজ হওয়ায় নিরুপায় হয়ে সোজা বিডিও(BDO)-র বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটা লাগায় ১৬ বছরের ওই কিশোরী(Murshidabad Child Marriage Bravery Award)।

১২ কিলোমিটার পথ একা হেঁটে হরিহরপাড়ার বিডিও পূর্ণেন্দু স্যানালের কাছে গিয়ে সমস্ত বিষয় খুলে বলে। প্রশাসনের তৎপরতায় এইবারও বিয়ে দিতে ব্যর্থ হয় নূরবানুর পরিবার। তবে কিশোরীর এই সাহসিকতার কথা সরকারের কানো পৌঁছাতেই তাঁকে বিরাঙ্গনা পুরস্কার দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: চিলেকোঠায় বাসা বেঁধেছে বিরল প্রজাতির প্যাঁচা পরিবার, চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদে

পরিবারের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া না মিললেও নূরবানু জানায়, “আমি যে বীরাঙ্গনা পুরস্কার পেয়েছি, তা ভাবতেই পারছি না। মনে হচ্ছে স্বপ্ন দেখছি। আমার মতো বাকিরাও যেন নিজেদের অধিকার রক্ষা করতে সাহস দেখিয়ে এগিয়ে আসুক, এটাই চাই।” পুরস্কারের খবর শুনে গোটা গ্রাম ভেঙে পড়ে তাঁকে দেখতে। নূরবানুর এক প্রতিবেশি জানান, বরাবরই একটু ডাকাবুকো স্বভাবের মেয়ে নূরবানু। এরকম মেয়ে খুঁজে পাওয়া কঠিন।