ইতিমধ্যেই হয়েছে ২ বিলিয়ন ডলারের বিরাট চুক্তি, Pakistan-এর বন্ধুকে শিক্ষা দিতে Su-30 Fighter Jet দিতে পারে ভারত…
Sukhoi 30 MKI: অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল যে আজারবাইজান, এবার তাদের শত্রু দেশকেই হয়তো সুখোই রফতানি করবে ভারত।

ভারতের হাতে থাকা সবচেয়ে উন্নত ফাইটার জেট কোনটা? বেশিরভাগ মানুষই বলবেন ফ্রান্সে তৈরি রাফাল। কিন্তু সত্যিই কি তাই? আসলে ফ্রান্স তৈরি রাফাল এবং ভারতে তৈরি সুখোই ৪.৫ প্রজন্মের ফাইটার জেট। ক্ষমতার দিক দিয়ে দেখলে এ বলে আমায় দেখ, তো ও বলে আমায় দেখ। কেউই কারও থেকে কম যায় না।
অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে পাকিস্তানকে উচিৎ শিক্ষা দিয়েছে ভারতীয় বায়ু সেনা। আর সেই অপারেশনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল ভারতের বিমান বাহিনীর ‘শিরদাঁড়া’ এই সুখোই। আর এই অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল যে আজারবাইজান, এবার তাদের শত্রু দেশকেই হয়তো সুখোই রফতানি করবে ভারত।
সীমান্ত নিয়ে আর্মেনিয়ার সঙ্গে ঝামেলা রয়েছে আজারবাইজানের। দক্ষিণ ককেশাস অঞ্চলে সামরিক উত্তেজনা বাড়ায় পাকিস্তান থেকে ৪০টি JF-17 ফাইটার জেট কিনছে আজারবাইজান, খবর এমনই। আর তারই পাল্টা হিসাবে ভারতে তৈরি Sukhoi 30 MKI কিনতে পারে আর্মেনিয়া, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু রাফাল নাকি সুখোই, কোনটা কিনবে আর্মেনিয়ার বায়ুসেনা? এখানে সুখোই সবচেয়ে বড় বিকল্প হতে পারে এই কারণেই, যে রাফালের তুলনায় সুখোই বেশ সস্তা। এ ছাড়াও সুখোই বিমানটিকে আর্মেনিয়ার চাহিদা অনুযায়ী আপগ্রেড করতে পারবে ভারত। এই সুখোই ভারতে তৈরি অস্ত্র এমকে ১ ও ব্রহ্মস ক্রুজ মিসাইল বহন ও তা দিয়ে অ্যাটাক করতে সক্ষম। এ ছাড়াও, আর্মেনিয়ার বায়ুসেনায় বর্তমানে ৪টি Sukhoi 30 MS ও ১৬টি Sukhoi 25 ফাইটার জেট রয়েছে। ফলে, নতুন করে Sukhoi 30 MKI অ্যাডাপ্ট করতে তাদের তেমন কোনও সমস্যা হবে না।
২০২০ সালের পর থেকে ভারত ও আর্মানিয়ার মধ্যে একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। ইতিমধ্যে আর্মেনিয়ার সঙ্গে ২ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে ভারত। এই চুক্তি অনুযায়ী আকাশ ১ এস এয়ার ডিফেন্স, পিনাকা মাল্টি ব্যারেল রকেট লঞ্চার বা আরও অনেক অস্ত্র আর্মেনিয়াকে সরবরাহ করার কথা ভারতের।





