AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

তেল দেওয়ার ট্যাঙ্কার নেই China-র, পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরবে Russian বিমান!

Chinese Air Force: নথিটি প্রথম সামনে আনে একটি হ্যাকার গোষ্ঠী। যাদের নাম ‘Black Mirror’। সেখানে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের একটি চিঠিতে 'Customer 156'-এর জন্য এই ২০টি বিমানের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতের কথা বলা হয়েছে। সাংবাদিক Piotr Butowski এই 'Customer 156'-কে চিন বলে চিহ্নিত করেছেন।

তেল দেওয়ার ট্যাঙ্কার নেই China-র, পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরবে Russian বিমান!
Image Credit: TND Ministry/Handout/Anadolu via Getty Images
| Updated on: Oct 23, 2025 | 4:23 PM
Share

বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী বায়ুসেনা কার? এই নিয়ে তো বিতর্ক চলছিলই। আর এবার নিজেদের শক্তি কয়েকগুণ বাড়াতে এবার মাঠে নামল সিনের বায়ুসেনা। জানা গিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সংস্থা থেকে প্রায় ২০টি IL-78MK-90A ট্যাঙ্কার বিমান কেনার পরিকল্পনা করছে ড্রাগনের দেশ।

রাশিয়ান সংস্থা Rostec-এর থেকে ফাঁস হওয়া একটি নথি থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আর এমন ঘটনা যে বিশ্বের সমর-মানচিত্রে বড়সড় বদল নিয়ে আসবে তা আর বলতে বাকি রাখে না। জানা গিয়েছে, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্স (PLAAF) এই ট্যাঙ্কারগুলো কিনতে চাইছে। আর যদি এই কেনাকাটা সম্পূর্ণ হয় তাহলে চিনের বিমানবাহিনীর যুদ্ধক্ষমতা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যাবে, মনে করছেন সমর-বিশেষজ্ঞরা।

নথিটি প্রথম সামনে আনে একটি হ্যাকার গোষ্ঠী। যাদের নাম ‘Black Mirror’। সেখানে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের একটি চিঠিতে ‘Customer 156’-এর জন্য এই ২০টি বিমানের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতের কথা বলা হয়েছে। সাংবাদিক Piotr Butowski এই ‘Customer 156’-কে চিন বলে চিহ্নিত করেছেন।

চিনের হঠাৎ এত ট্যাঙ্কারের প্রয়োজন কেন?

আসলে, চিন সামরিক ক্ষেত্রে ‘বিশ্ব শক্তি’ হতে চায়। এর জন্য দূরপাল্লার অপারেশনে সক্ষম হওয়া জরুরি। এই ‘উড়ন্ত পাম্প’ বা ট্যাঙ্কার বিমানগুলি মাঝ আকাশে যুদ্ধবিমানে জ্বালানি ভরতে পারে। চিনের হাতেও রয়েছে তাদের নিজস্ব YY-20 ট্যাঙ্কার। কিন্তু এই ট্যাঙ্কারের উৎপাদন এখনো ধীর। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাইওয়ান বা দক্ষিণ চিন সাগরের মতো সংবেদনশীল এলাকায় দ্রুত ও দীর্ঘ সময় ধরে বিমান মোতায়েন রাখতে এই রুশ ট্যাঙ্কারগুলি একটি ‘ব্রিজিং সলিউশন’ হিসেবে কাজ করবে।

সিঙ্গাপুরের Collin Koh এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এই ঘটনা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে চিন তাদের নিজস্ব YY-20 ট্যাঙ্কারের ক্ষমতা নিয়ে পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়’। তথ্য বলছে, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে চিন তাদের ৬৮ শতাংশ অস্ত্র রাশিয়া থেকে আমদানি করেছে।

চিনের এই সামরিক আধুনিকীকরণ আসলে ভারতের জন্য সতর্কবার্তা। যখন ভারত আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে Tejas বা নিজস্ব প্রযুক্তির রিফুয়েলারের দিকে নজর দিচ্ছে, তখন ড্রাগন রাশিয়াকে ব্যবহার করে দ্রুত তার বিমানবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে চাইছে। আর এর ফলে, আগামিদিনে ভারত-চিন সীমান্তে বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্যে এর বড় প্রভাব পড়তে পারে।