Investment: পুজোর আগে হাতে কিছু টাকা এসেছে? কোথায় বিনিয়োগ করবেন, সেই সংশয় দূর করুন এখনই…

Investment scheme: যেকোনও খাতেই বিনিয়োগের আগে অনেক ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন, কারণ সামান্য একটি ভুলেও আপনি বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।

Investment: পুজোর আগে হাতে কিছু টাকা এসেছে? কোথায় বিনিয়োগ করবেন, সেই সংশয় দূর করুন এখনই...
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2022 | 1:30 AM

নয়া দিল্লি: হাতে কিছু টাকা পেয়েছেন বা জমানো কিছু অর্থ রয়েছে? ভাবছেন এই অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করবেন? হাতের সামনে এখন রয়েছে একাধিক অপশন। বিমা থেকে শুরু করে স্টক মার্কেট, ফিক্সড ডিপোজিট, বন্ড- একাধিক ক্ষেত্রেই টাকা জমা রাখা যায়। এবার প্রশ্ন হল এত অপশনের মধ্যে আপনি কোথায় বিনিয়োগ করবেন?

যেকোনও খাতেই বিনিয়োগের আগে অনেক ভাবনাচিন্তার প্রয়োজন, কারণ সামান্য একটি ভুলেও আপনি বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। সেই কারণেই লাভের মুখ দেখতে বিনিয়োগ করার আগে তাঁর সুবিধা ও ঝুঁকি-উভয়ের বিষয়েই জানা প্রয়োজন।

কী কী খাতে বিনিয়োগ করতে পারেন?

১. বিমা- বিমা বা ইন্স্যুওরেন্স তাদের পক্ষে আদর্শ, যারা কম ঝুঁকি নিতে চান এবং নিশ্চিত রিটার্ন পেতে চান। সবথেকে কম ঝুঁকির বিনিয়োগ হিসাবেই বিমাকে গণ্য করা হয়। এতে যেমন বিমার মেয়াদ শেষে একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক সুদ সমেত ফেরত পাওয়া যায়, তেমনই আবার গ্রাহকের হঠাৎ দুর্ঘটনা বা মৃত্যু হলেও বিমা টাকা সুদ সমেত ফেরত পাওয়া যায় পরিবারের সাহায্যের জন্য। বিমা থেতে প্রাপ্ত অর্থ শিক্ষা, বিয়ে, চিকিৎসার খরচ মেটাতে সাহায্য করতে পারে।

২. স্টক-  যারা ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত ও বিনিয়োগ করে অতিরিক্ত লাভের আশা করছেন, তাদের জন্য আদর্শ স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ। স্টক হল কোনও একটি সংস্থা, কর্পোরেশন বা অন্য় কোনও প্রতিষ্ঠানের অংশীদারী মালিকানা। বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনে বিনিয়োগ করেন। পরে যখন সেই শেয়ারের দর বেড়ে যায়, তা বিক্রি করে অতিরিক্ত অর্থ লাভ করেন।

৩. মিউচুয়াল ফান্ড- যদি আপনি বিনিয়োগ করে অতিরিক্ত লাভ করতে চান, তবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা উচিত। মিউচুয়াল ফান্ডের ধরন ও বিনিয়োগ করা অর্থের উপরে বিনিয়োগের ঝুঁকি নির্ভর করে।

৪. ফিক্সড ডিপোজিট- নিশ্চিত আয় ও কম ঝুঁকির জন্য বিনিয়োগকারীরা ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগ করতে পারেন।  এই বিনিয়োগ স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদের হয়। একটি নির্দিষ্ট হারে প্রতি বছর বিনিয়োদ করা অর্থের উপরে সুদ দেওয়া হয়। ব্যাঙ্কে এই ফিক্সড ডিপোজিট করা যায়।

৫. পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড- কম ঝুঁকিতে, বেশি রিটার্নের জন্য আরও একটি জনপ্রিয় অপশন হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিপিএফ। ১৫ বছরের জন্য এই খাতে টাকা বিনিয়োগ করা যায়। মেয়াদ শেষে বিনিয়োগ করা অর্থের পাশাপাশি মোটা টাকার রিটার্নও পাওয়া যায়।