Demat Account : শেয়ার বাজারে লেনদেনের জন্য থাকতেই হবে ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট! কীভাবে খুলবেন জেনে নিন

Demat Account : শেয়ার বাজারে লেনদেনের জন্য বিনিয়োগকারীদের ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট থাকা আবশ্যক। এর মাধ্যমেই শেয়ার লেনদেন হয়ে থাকে।

Demat Account : শেয়ার বাজারে লেনদেনের জন্য থাকতেই হবে ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট! কীভাবে খুলবেন জেনে নিন
গ্রাফিক্স সৌজন্যে : টিভি৯ বাংলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2022 | 9:22 PM

চাকরি বা নিজের স্বাধীন ব্যবসার পাশাপাশি অনেকেই শেয়ারে বিনিয়োগ করে থাকেন। আবার শেয়ার বাজারই অনেকের আয়ের মূল উৎস। শেয়ার বাজারের খুঁটিনাটি তাঁদের গুলে খাওয়া। কিন্তু শেয়ার বাজারে যাঁরা নবাগতা বা শেয়ার বাজারে যাঁরা বিনিয়োগ করবেন ভাবছেন তাঁদের শেয়ার বাজার নিয়ে বিশদ জ্ঞান থাকা উচিত। যেমন শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের মূল মাধ্যম হল ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে গেলে তিনটি অ্যাকাউন্টের দরকার পড়ে। এর মধ্যে অন্যতম হল ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট। এছাড়া অন্য়ান্য অ্যাকাউন্টগুলি হল ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। শেয়ার বাজারে ট্রেডিংয়ের জন্য এই তিনটি অ্য়াকাউন্ট প্রয়োজনীয়। ডিম্যাট অ্য়াকাউন্টের বিভিন্ন কার্যকারিতার সম্বন্ধে জেনে নিন :

ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট কী?

ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট আর পাঁচটা ব্য়াঙ্ক অ্য়াকাউন্টের মতোই। যেরকম কোনও সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট গ্রাহকদের টাকা সুরক্ষিত রাখে সেরকমই ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার সুরক্ষিত রাখে। ডিম্যাট অ্য়াকাউন্টে বিনিয়োগকারীর কেনা শেয়ার ইলেকট্রনিকভাবে সুরক্ষিত থাকে।

ডিম্যাট অ্য়াকাউন্টের ধরন :

নিজেদের প্রোফাইল অনুযায়ী ভেবেচিন্তে ডিম্যাট অ্য়াকাউন্টের ধরন বেছে নেওয়া উচিত বিনিয়োগকারীদের। এক মিনিটেই ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট খোলা সম্ভব। চার রকমের ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট হয়।

রেগুলার ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট (Regular Demat Account) :

ভারতে বসবাসকারী নাগরিকদের জন্য রেগুলার ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট। ভারতের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে বসবাসকারী বিনিয়োগকারী যাঁরা শেয়ার কিনতে বা বিক্রি করতে চান বা জমা রাখতে চান তাঁদের রেগুলার ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট খুলতে হবে। যদি কেউ শেয়ার বিক্রি করে দেন আপনার অ্য়াকাউন্ট থেকে শেয়ার কেটে নেওয়া হবে। সেরকমই যখন কেউ শেয়ার কিনবেন তা সেই অ্য়াকাউন্টেই জমা হবে। তবে কেউ যদি ফিউচার অ্যান্ড অপশনস (Futures & Options) এ বিনিয়োগ করেন তাহলে তাঁর ডিম্যাট অ্য়াকাউন্টের কোনও দরকার পড়বে না।

বেসিক সার্ভিস ডিম্য়াট অ্যাকাউন্ট (Basic Service Demat Account) :

এটি একটি নতুন ধরনের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট। ছোটোখাটো বিনিয়োগকারীদের কথা মাথায় রেখে সেবি (Securities and Exchange Board of India) এই অ্যাকাউন্ট নিয়ে এসেছে। এই অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজারের কম টাকার স্টক ও বন্ড রাখার ক্ষেত্রে কোনও রক্ষণাবেক্ষণ খরচ দিতে হয় না। ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা অবধি সিকিউরিটি রাখার ক্ষেত্রে ১০০ টাকা চার্জ নেওয়া হয়।

রিপ্যাট্রিয়েবল ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট (Repatriable Demat Account) :

বিদেশে বসবাসকারীদের জন্য ভারতীয়দের (NRI) জন্য এই ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে NRI-রা ভারতীয় বাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং বিদেশেও পাঠাতে পারবেন। যদিও টাকা পাঠানোর জন্য এই ডিম্যাট অ্যাকাউন্টকে এনআরই-র (Non-Resident External) অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।

নন-রিপ্যাট্রিয়েবল ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট (Non-repatriable Demat Account) :

এই অ্য়াকাউন্টটিও NRI-দের জন্যই। তবে এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাঠানো সম্ভব নয়।

ডিম্যাট অ্য়াকাউন্টের সুবিধা :

কোনওরকম ঝঞ্ঝাট ছাড়া সহজে ও তাড়াতাড়ি ডিম্যাট শেয়ার পাঠানো যায় এই ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। এই ক্ষেত্রে শেয়ার চুরি, জালিয়াতি বা হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। ট্রেডিংয়ের ধরন এর মাধ্যমে খুব সহজেই দেখা সম্ভব। যেকোনও সময়, যেকোনও জায়গা থেকে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যায়। বোনাস স্টক, রাইটস ইস্যু, স্প্লিট শেয়ার নিজে থেকেই এই অ্য়াকাউন্টে জমা হয়।

কীভাবে খুলবেন ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট?

শেয়ার বাজারে ট্রেডিংয়ের জন্য ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট খোলা অত্যাবশ্যক। কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা ব্রোকারের মাধ্যমে ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এর জন্য সর্বপ্রথম ডিপোজ়িটরি পার্টিসিপ্যান্ট (DP) বেছে নিতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্বীকৃত ব্য়াঙ্ক বা ব্রোকার হতে পারে। ব্রোকারেজ চার্জ,বার্ষিক চার্জ ও প্রাপ্ত সুবিধার উপর ভিত্তি করে ডিপি নির্বাচন করা উচিত। ডিপি নির্বাচনের পর অ্য়াকাউন্ট খোলার জন্য আবেদনপত্র, KYC ফর্ম পূরণ করে জমা দিন। এর সঙ্গে প্যান কার্ড, ঠিকানার প্রামাণ্য নথি, পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট সাইজের ছবি জমা দিতে হবে আবেদনকারীকে। যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার সময় নথিপত্রের অরিজিনাল কপি নিজের সঙ্গে রাখুন। এর পাশাপাশি ব্যাঙ্কের বিভিন্ন তথ্যের জন্য একটি বাতিল হওয়া চেকও দিতে হবে। এরপর একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করতে হবে। সেখানে আপনার অধিকার এবং নিয়মনীতি নথিবদ্ধ থাকবে। স্বাক্ষর করার আগে ভাল করে সেই চুক্তিপত্র পড়ে নেওয়া বাঞ্ছনীয়। এখন বহু প্ল্যাটফর্ম অনলাইনে ডিম্যাট অ্য়াকাউন্ট খোলার সুবিধ দিয়ে থাকে।