Electoral bonds: ‘লটারি কিং’-ই নির্বাচনী বন্ডের রাজা! একাই দিয়েছেন ১৩৬৮ কোটি টাকা
Who is Lottery King: রাজনৈতিক অনুদান দেওয়ার জন্য নির্বাচনী বন্ড কিনেছে যে সংস্থাগুলি, তাদের নাম এখন সকলের সামনে চলে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, নির্বাটনী বন্ডের মাধ্যমে সবথেকে বেশি রাজনৈতিক অনুদান দিয়েছে 'ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড' নামে একটি সংস্থা। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্থাটি ১৩৬৮ কোটি টাকার রাজনৈতিক অনুদান দিয়েছে।
নয়া দিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের ধমকে নির্বাচন কমিশনের হাতে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত সকল তথ্য তুলে দিয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ), সেই তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক অনুদান দেওয়ার জন্য নির্বাচনী বন্ড কিনেছে যে সংস্থাগুলি, তাদের নাম এখন সকলের সামনে চলে এসেছে। দেখা যাচ্ছে, নির্বাটনী বন্ডের মাধ্যমে সবথেকে বেশি রাজনৈতিক অনুদান দিয়েছে ‘ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা। ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের মাধ্যমে সংস্থাটি ১৩৬৮ কোটি টাকার রাজনৈতিক অনুদান দিয়েছে। সংস্থার মালিক হলেন সান্তিয়াগো মার্টিন, যিনি বেশি পরিচিত ‘লটারি কিং’ নামে। কে এই লটরি কিং? আসুন, জেনে নেওয়া যাক –
সান্তিয়াগো মার্টিনের একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট রয়েছে। সেই ট্রাস্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, মায়ানমারের ইয়াঙ্গনে একজন শ্রমিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন ‘লটারি কিং’। ১৯৮৮ সালে, তিনি ভারতে ফিরে আসেন এবং তামিলনাড়ুতে লটারির ব্যবসা শুরু করেন। পরে তিনি কর্নাটক, কেরল এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে তিনি তাঁর লটারি ব্যবসাকে ছড়িয়ে দেন। উত্তর-পূর্বে, তিনি সরকারি লটারি স্কিমগুলি পরিচালনার ভার নিয়েছিলেন। পরে তিনি ভুটান এবং নেপালেও তাঁর ব্যবসার সম্প্রসারণ ঘটান। পরবর্তী সময়ে তিনি নির্মাণ, রিয়েল এস্টেট, বস্ত্র এবং আতিথেয়তা ব্যবসাতেও পা রেখেছেন।
তিনি ‘অল ইন্ডিয়া ফেডারেশন অব লটারি ট্রেড অ্যান্ড অ্যালায়েড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর প্রেসিডেন্টও বটে। ভারতে লটারি ব্যবসার প্রসার ঘটেছে এই সংস্থআর হাত ধরেই। তাঁর প্রচেষ্টায়, ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড, ‘ওয়ার্ল্ড লটারি অ্যাসোসিয়েশনে’র সদস্য হয়েছে। এখন, সংস্থাটি অনলাইন গেমিং, ক্যাসিনো এবং স্পোর্টস বেটিং-এর ক্ষেত্রেও পা বাড়াচ্ছে।
কৌতূহলের বিষয় হল, ২০১৯ সালেই তহবিল তছরুপ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেডের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ২০২৩ সালের মে মাসে তাদের কোয়েম্বাটোর এবং চেন্নাইয়ের অফিসে তল্লাশিও চালানো হয়। ইডির তদন্তের আগেই, কেরল ও সিকিম সরকারের লটারির টিকিট বিক্রির অভিযোগে সংস্থাটির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল সিবিআই। চার্জশিটে বলা হয়েছিল, সান্তিয়াগো মার্টিন এবং তাঁর সংস্থা ২০০৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০১০ সালের অগস্ট পর্যন্ত পুরস্কার বিজয়ী টিকিটের সংখ্য়া বাড়িয়ে সিকিম সরকারের ৯১০ কোটি টাকার ক্ষতি করেছে। সিবিআইয়ের সেই চার্জশিটের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু করেছিল ইডি।