Fighter Jets: ফাইটার জেট চালানো স্বপ্ন? আপনিও কিনতে পারেন এমন যুদ্ধবিমান!
Fighter Plane: কেউ যদি সত্যিই কোনও যুদ্ধবিমান কিনতে চান, তাহলে তাকে একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এবং এই প্রক্রিয়া কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে দেশের সরকার। কী কী নিয়ম রয়েছে ফাইটার জেট কেনার? জানেন কি?

আচ্ছা আপনার নিজস্ব একটা ফাইটার জেট যদি থাকত, কেমন হয় বলুন তো? যুদ্ধবিমানের মালিক হওয়া দেশের অনেক মানুষের কাছেই একটা বিরাট স্বপ্ন। ফাইটার জেটের গতিবেগ স্বপ্নের গতিবেগের চেয়ে কম হলেও, অনেকেই বাস্তবে সেই গতিবেগে উড়তে চান। যদিও বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে কোনও ফাইটার জেটের মালিক হওয়া একেবারেই সরল বিষয় নয়।
কেউ যদি সত্যিই কোনও যুদ্ধবিমান কিনতে চান, তাহলে তাকে একটি অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এবং এই প্রক্রিয়া কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে দেশের সরকার।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, সার্ভিসে থাকা কোনও যুদ্ধবিমান কিনতে পারেন না সাধারণ নাগরিক। তার একটাই কারণ, উন্নত সামরিক প্রযুক্তি যাতে বাইরে চলে না যায়।
পুরনো ফাইটার জেটের ক্ষেত্রে কী নিয়ম?
যে সব বিমান এখনও পরিষেবা দিচ্ছে, সেই সব বিমান নিষিদ্ধ হলেও যে সব বিমান ইতিমধ্যে অবসর নিয়ে নিয়েছে সেই বিমান কেনার অবশ্যই আইনি রাস্তা রয়েছে। যদিও সেই বিমান কেনারও কিছু শর্ত রয়েছে। প্রথমত, এই বিমানটি ডিমিলিটারাইজড হতে হবে। অর্থাৎ, এই বিমানে কোনও ধরনের অস্ত্রশস্ত্র ও গোপন সামরিক সরঞ্জাম থাকবে না। এ ছাড়াও এই যুদ্ধবিমানকে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা FAA দ্বারা নিবন্ধিত হতে হবে। এ ছাড়াও অসামরিক বিমান চলাচলের সমস্ত মানদণ্ডও এই বিমানকে পূরণ করতে হবে। এই শর্ত পূরণ হলে তবেই এই বিমান কেনা সম্ভব।
এই ধরনের বিমান যদি কেউ কেনে, তবে তার জন্য সেই বিমান রক্ষণাবেক্ষণ খুবই কষ্টসাধ্য। প্রতিটি মডেলের জন্য পাইলটদের নিতে হয় আলাদা আলাদা ধরনের প্রশিক্ষণ। এ ছাড়াও সমস্যা তৈরি হতে পারে মেকানিক নিয়েও। টম ক্রুজের মতো সেলিব্রিটি বা কোনও প্রাক্তন সামরিক পাইলটরাই কেবল এই ধরনের যুদ্ধবিমান কেনার স্বপ্ন সফল করতে পেরেছেন। টম ক্রুজের কাছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমলের একটি P-51 Mustang রয়েছে।
