AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sugar Export Ban: দামের চোটে ‘তেতো’ হচ্ছিল চিনি, বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র

Inflation: আগামী ১ অক্টোবর থেকেই চিনির পরবর্তী মরশুম শুরু হচ্ছে। শেষ হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সেই মরশুম শেষ হবে। গোটা মরশুম জুড়েই চিনির রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই সূত্রের খবর। 

Sugar Export Ban: দামের চোটে 'তেতো' হচ্ছিল চিনি, বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র
প্রতীকী চিত্রImage Credit: Pixabay
| Edited By: | Updated on: Sep 29, 2023 | 3:55 PM
Share

নয়া দিল্লি: কমছে জোগান, বাড়ছে চিনির দাম। চলতি বছরে বিশ্ব বাজারে ধাপে ধাপে ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে চিনির দাম (Sugar Price)। প্রায় ৩০ শতাংশ দাম বেড়েছে চিনির, যা বিগত ১২ বছরে সর্বোচ্চ। এই মূল্যবৃদ্ধি থেকে ছাড় পায়নি ভারতও। দেশেও চড়চড়িয়ে বাড়ছে চিনির দাম। এই পরিস্থিতিতে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং দেশে জোগান বজায় রাখতে চিনির রফতানির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে ভারত। সূত্রের খবর, আগামী মরশুম থেকেই চিনির রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেই এই নিয়ে কেন্দ্র নির্দেশিকা জারি করতে পারে।

আগামী ১ অক্টোবর থেকেই চিনির পরবর্তী মরশুম শুরু হচ্ছে। শেষ হবে আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সেই মরশুম শেষ হবে। গোটা মরশুম জুড়েই চিনির রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনটাই সূত্রের খবর।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চিনি উৎপাদক দেশ হল ভারত। বিশ্ব বাজারে চিনির অন্যতম রফতানিকারকও ভারত। ২০২১-২২ সালেই ভারত ১১ মিলিয়ন বা ১.১ কোটি টন চিনি রফতানি করেছিল বিদেশে। কিন্তু চলতি বছরে দেশে চিনির উৎপাদন অনেকটাই কম হয়েছে। ফলে দেশীয় বাজারে চিনির জোগান বজায় রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেই চিনি রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে কেন্দ্র।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি আধিকারিক বলেন, “২০২২-২৩ চিনির বর্ষে সরকার প্রায় ৬০ লক্ষ টন চিনি রফতানি স্থগিত করেছিল। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আমাদের প্রধান লক্ষ্যই হল দেশীয় বাজারে চিনির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা।”

বছরের শুরুতে বৃষ্টির ঘাটতির কারণেই চিনির উৎপাদনে প্রভাব পড়েছিল। তবে বর্ষার মরশুমে দেশজুড়ে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়েছে। গত ৩১ অগস্ট যেখানে বৃষ্টির ঘাটতি ১০ শতাংশ ছিল, সেখানেই ২৫ সেপ্টেম্বর বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। ফলে চিনি উৎপাদনেও ঘাটতি কিছুটা পূরণ হতে পারে।

গত অগস্ট মাসেই নীতি আয়োগের সদস্য রমেশ চন্দ চিনি উৎপাদন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ আখ উৎপাদন হলেও, তার একটা বড় অংশ ইথানল উৎপাদনে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে ভাঁটা পড়ছে চিনির উৎপাদনে।

এদিকে দেশে খাদ্য়পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিও উত্তরোত্তর হয়েই চলেছে। জুলাই মাসেই রিটেল মূল্যবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়ায় ৭.৪৪ শতাংশে, যা গত ১৫ মাসে সর্বোচ্চ। আগামী কয়েক মাসও মূল্যবৃদ্ধি জারি থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দাম বেড়েছে চিনিরও। গত মাসের তুলনায়  চলতি মাসে চিনির দাম ২.৫ শতাংশ বেড়েছে।