Indian Railways: ভারতীয় রেলের দারুণ চমক, স্টেশনেই এবার সারতে পারবেন শপিং, মিলবে ফাইন ডাইনিংও!

Indian Railways: কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের ৪০টি রেলস্টেশনে রুফটপ প্লাজা তৈরি করা হবে, যেখানে জামা-কাপড় থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান, বিশাল ফুডকোর্ট, এমনকি ফাইন ডাইনিং পরিষেবা দেয়, এমন বড় রেস্তরাঁর আউটলেটও খোলা হবে।

Indian Railways: ভারতীয় রেলের দারুণ চমক, স্টেশনেই এবার সারতে পারবেন শপিং, মিলবে ফাইন ডাইনিংও!
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2022 | 12:54 PM

নয়া দিল্লি: আগে রেল স্টেশন বলতেই যত্রতত্র পানের পিক, সীমিত সংখ্যক আসন, মান্ধাতা আমলের ফ্যান ও বড় একটি ঘড়ি- এই ছবিগুলিই চোখের সামনে ভেসে আসত। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে ভারতীয় রেলের অধীনে রেলওয়ে স্টেশনগুলির চিত্র সম্পূর্ণ বদলে গিয়েছে। প্রবেশপথে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ঝাঁ-চকচকে প্ল্যাটফর্ম, আধুনিক ওয়েটিং রুম, কী নেই সেখানে। তবে এখানেই শেষ নয়, আগামী কয়েক বছরে রেলস্টেশনগুলিতে আমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বড় রেলস্টেশনগুলিকে মিনি শপিং মলে পরিণত করা হবে, এমনটাই রেলওয়ে সূত্রে খবর।

কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের ৪০টি রেলস্টেশনে রুফটপ প্লাজা তৈরি করা হবে, যেখানে জামা-কাপড় থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান, বিশাল ফুডকোর্ট, এমনকি ফাইন ডাইনিং পরিষেবা দেয়, এমন বড় রেস্তরাঁর আউটলেটও খোলা হবে। শুধুমাত্র ট্রেনযাত্রীরাই নন, সাধারণ মানুষও এসে এখানে সময় কাটাতে পারবেন। স্টেশনে রাত কাটানোর ব্যবস্থাও চালু করা হবে প্রায় একই সময়ে। জানা গিয়েছে, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপেই এই প্রকল্প রূপায়ন করা হয়েছে।

রেলওয়ে ইতিমধ্য়েই এই পরিকল্পনার নীল নকশা বানিয়ে ফেলেছে। বিভিন্ন স্টেশনের জন্য় আলাদা সজ্জার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেমন গুজরাটের সোমনাথ স্টেশনের ছাদে ১২টি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করা হবে, যা দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গকেই বোঝাবে। বিহারের গয়ায় পুণ্যার্থীদের জন্য আলাদা একটি করিডর তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি স্টেশনের ভোলবদলের জন্য টাকার অঙ্কও ধার্য করা হয়েছে। যেমন কন্যাকুমারীর জন্য ৬১ কোটি টাকা, নেল্লোরের জন্য ৯১ কোটি টাকা। বড় ও গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন, যেমন প্রয়াগরাজ ও চেন্নাইয়ের জন্য যথাক্রমে ৯৬০ কোটি ও ৮৪২ কোটি টাকা খরচ করা হবে। এছাড়া এর্নাকুলামের জন্য ৪৪৫ কোটি, লখনউয়ের জন্য জন্য ৪৯৪ কোটি, গোয়ালিয়রের জন্য ৫৪৫ কোটি, ভুবনেশ্বরের জন্য ৩০৮ কোটি, নিউ জলপাইগুড়ির জন্য ৩৫৩ কোটি, উদয়পুরের জন্য় ৩৫৮ কোটি, জম্মু-তাওয়াইয়ের জন্য ২৬২ কোটি টাকা খরচ হবে।