বৃষ্টি হলেই মন উশখুশ করে ‘বুড়ো সন্ন্যাসী’র জন্য? জানেন কীভাবে তৈরি হয় রাম?
Old Monk: ভারতীয় ব্রান্ড ওল্ড মঙ্ক। ১৯৫৪ সালে রতন মোহন এই রামের ব্রান্ড তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে তা দেশের ১ নম্বর ও বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক বিক্রিত রাম।
সুরাপ্রেমী যারা, তাদের কাছে পছন্দের ব্রান্ড জানতে চাইলে অনেকেই নাম নেন ওল্ড মঙ্কের। রামের ভক্ত অনেকেই, রাম-প্রেমীদের অনেকেরই আবার ওল্ড মঙ্ক ছাড়া মুখে কিছু রোচে না। এই ওল্ড মঙ্ক কোথা থেকে এল জানেন?কেনই বা অনন্য এর স্বাদ?
ভারতীয় ব্রান্ড ওল্ড মঙ্ক। ১৯৫৪ সালে রতন মোহন এই রামের ব্রান্ড তৈরি করেছিলেন। বর্তমানে তা দেশের ১ নম্বর ও বিশ্বের তৃতীয় সর্বাধিক বিক্রিত রাম।
ওল্ড মঙ্ক তৈরির গল্প-
ওল্ড মঙ্ক নামকরণের পিছনে রয়েছে এক কাহিনি। ব্রান্ডের প্রতিষ্ঠাতা বেদ রতন মোহন ইউরোপে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় বেনেডিক্টাইন সন্ন্যাসীদের সঙ্গে। পাহাড়ে তাদের জীবনযাপন দেখে যেমন অনুপ্রাণিত হন, তার থেকেও বেশি মুগ্ধ হন তাদের তৈরি বিশেষ মদ পান করে। সেখান থেকেই সিদ্ধান্ত নেন দেশীয় রাম তৈরির। নামকরণও হয় ওই বুড়ো সন্ন্যাসীদের থেকেই।
সেনাবাহিনীর জন্য বিক্রি হত হারকিউলিস রাম। অত্যন্ত কড়া, কিন্তু গুণমানে দারুণ এই রাম থেকেও কিছুটা অনুপ্রেরণা নিয়ে তৈরি করা হয় ডার্ক রাম।
কেন ওল্ড মঙ্কের স্বাদ আলাদা?
মদ যত পুরনো হয়, স্বাদ তত ভাল হয়। ৭ বছর ধরে ড্রামবন্দি করে ডিস্টিল করা হয় ওল্ড মঙ্কের রাম। এর মধ্যে অনেক ভারতীয় মশলাও মেশানো হয়। ভ্যানিলা মেশানোয় ওল্ড মঙ্কের স্বাদ মসৃণ হয়।
ওল্ড মঙ্ক কখনওই বিজ্ঞাপন দেয় না বা প্রচার করে না। জনমুখে প্রচার থেকেই জনপ্রিয়তা ওল্ড মঙ্কের। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা ওল্ড মঙ্কের। এর ব্রান্ড ভ্যালু ২০০০ কোটি টাকারও বেশি।