এয়ারটেল-জিওকে পিছনে ফেলে এবার ভারতে ব্যবসা করবেন ইলন মাস্ক? স্যাটেলাইট থেকে সরাসরি মিলবে ইন্টারনেট!
Internet: উপগ্রহ ভিত্তিক নেট পরিষেবা দিতে অপেক্ষায় রয়েছে এয়ারটেল (Airtel) ও জিও (Jio)। আগামী ডিসেম্বরে বা নতুন বছরের শুরুতে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র।
নয়া দিল্লি: খুব শীঘ্রই দেশে চালু হচ্ছে উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা। এই পরিষেবা চালু হলে ৫জি-র তুলনায় ভারতে ইন্টারনেটের স্পিড কয়েক গুণ বাড়বে। শুধু তাই নয়, অন্যান্য কিছু সুবিধাও হবে। গ্রামে আর শহরে ইন্টারনেটের স্পিডে যে তফাত্ চোখে পড়ে, সে সব আর থাকবে না। কয়েক মিনিটের মধ্যে একটা আস্ত থ্রি-ডি ফিল্ম ডাউনলোড করা যাবে! এখন প্রশ্ন হল, ভারতে সেই পরিষেবা চালু হবে কবে?
এই পদ্ধতিতে মোবাইলের বদলে সরাসরি উপগ্রহ থেকে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়। ভারতে সেই পরিষেবা দিতে কয়েক মাস ধরে কাজ করছে ইলন মাস্কের সংস্থা ‘স্টারলিঙ্ক’। একইভাবেই উপগ্রহ ভিত্তিক নেট পরিষেবা দিতে অপেক্ষায় রয়েছে এয়ারটেল (Airtel) ও জিও (Jio)। আগামী ডিসেম্বরে বা নতুন বছরের শুরুতে এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে কেন্দ্র।
কিন্তু ইলন মাস্কের সংস্থার ভাগ্যে কী ভারতে ব্যবসা করার লাইসেন্স জুটবে? জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক এক থিঙ্কট্যাঙ্ক এই নিয়ে কেন্দ্রকে যে রিপোর্ট পাঠিয়েছে, তাতে স্টারলিঙ্কের কাজটা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ওই থিঙ্কট্যাঙ্কের আশঙ্কা, টেলিকম সংস্থা হয়ে ভারতে ঢুকলেও ‘স্টারলিঙ্ক’ দেশের গোপন ও সংবেদনশীল তথ্য পাচার করতে পারে। তারা রিপোর্টে বলেছে, আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ও চিনের সঙ্গে স্টারলিঙ্কের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তাই এটা উপেক্ষা করা উচিত নয়।
ভারতের নিরাপত্তায় এই সংস্থা ‘থ্রেট’ হয়ে উঠতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই স্টারলিঙ্ককে ভারতে নিমন্ত্রণ করে আনার দরকার নেই বলেই মত অনেকের। স্টারলিঙ্কের ভারতে ব্যবসা নিয়ে আগেই থেকেই আপত্তি জানিয়েছে এয়ারটেল ও জিও-র মতো সংস্থা। তারাও ওই জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলেই আপত্তি জানিয়েছিল। কিন্তু স্টারলিঙ্ক ভারতে পরিষেবা দিলে তথ্য বেহাত যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে কেন? তার কারণ উপগ্রহ ভিত্তিক নেট পরিষেবায় তথ্য ফিল্টার করার কোনও ব্যবস্থা নেই। টেলিকম ভিত্তিক পরিষবায় যেটা সম্ভব, সেটা ওখানে সম্ভব হবে না।
তবে প্রতিরক্ষা থেকে মহাকাশ গবেষণার মতো ক্ষেত্রে বহু সংবেদনশীল তথ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার হাতে পড়বে। সেই তথ্য অন্য দেশের হাতেও যেতে পারে। তাই স্টারলিঙ্ককে এদেশে ব্যবসার অনুমতি না দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করছে টেলিকম মহলের একাংশ। তবে সিদ্ধান্ত যাদের হাতে, সেই টেলিকম মন্ত্রক কী ভাবছে? সূত্রের খবর, স্টারলিঙ্কের জন্য ১০ দফা নিয়মবিধি তৈরি করে ফেলেছে টেলিকম মন্ত্রক। এই নিয়মবিধি নিয়ে স্টারলিঙ্কের সঙ্গে কথাবার্তার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।