
বাজার হুড়মুড়িয়ে পড়ছে। লস হবে ভেবে অনেক বিনিয়োগকারীই তাঁদের শেয়ার বাজার বা মিউচুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগ ক্রমাগত তুলে নিচ্ছেন। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্থায় বিনিয়োগ তুলে না নিয়ে বিনিয়োগ বাড়িয়ে দেওয়ার কথা।
বিনিয়োগ যাঁরা করেন, তাঁরা সাধারণত শেয়ারে বাজারে বা মিউচুয়াল ফান্ডে বা সোনায় বিনিয়োগ করেন। আবার অনেকে আছেন যাঁরা রিয়েল এস্টেট বা ক্রিপ্টোতে বিনিয়োগ করেন।
অনেকে আবার বিনিয়োগের মাধ্যমে দ্রুত অর্থ উপার্জন করতে চান। আর সেই লক্ষ্যভেদ করতে গিয়ে বিনিয়োগের বদলে ট্রেডিং শুরু করেন। তথ্য বলছে যে সব ভারতীয় ট্রেডিং করেন তাঁদের ৯৫ শতাংশই বাজারে অর্থ হারিয়েছেন। আরও জানা যায় যে ট্রেডারদের একটা বড় অংশই ট্রেডিং শুরু করার ১ থেকে ৩ বছরের মধ্যেই ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়।
এই জায়গাতেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। তাঁরা বলেন, বিনিয়োগ আসলে একটা দীর্ঘমেয়াদি খেলা। এক ঝটকায় অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্র কখনও বিনিয়োগ হতে পারে না। ঠিক যেমন টেস্ট ম্যাচ। একটা টেস্ট ম্যাচে ৫ দিন খেলা হয়। প্রতি দিনে ৯০ ওভার করে খেলা হয়। আবার প্রতি দিনকে ৩টে করে সেশনে ভাগ করা হয়। একটা ম্যাচে মোট ১৫টা সেশন হয়। কোনও দল একটা বা দুটো সেশন খারাপ খেললেই যে তারা গোটা ম্যাচটা হেরে যাবে এমনটা নয়। টেস্ট ম্যাচে ওঠাপড়া লেগেই থাকে। কিন্তু যে ব্যাটার পিচের মাটি কামড়ে পড়ে থাকে, ম্যাচ শেষে সেই কিন্তু জয়মাল্য নিয়ে যায়। ঠিক একই ব্যাপার ঘটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও। যে বিনিয়োগকারী মাটি কামড়ে পড়ে থেকে বিনিয়োগ করে যায়, দেখা যায় খুব তাড়াতাড়ি সে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা লাভ করেছে।
বিনিয়োগ ভাবলেই আমাদের মাথায় সবার আগে আসে ওয়ারেন বাফেটের নাম। বিনিয়োগের জগতের মহাতারকাও বলা হয় তাঁকে। ৯৪ বছর বয়সী বাফেটের মোট সম্পত্তির ৯০ শতাংশই এসেছে যখন তাঁর বয়স ৬০ পেরিয়ে গিয়েছে তার পর। অতয়েব, কেউ যদি দীর্ঘকাল ধরে বিনিয়োগ করতে থাকে, তাহলেই সে তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে ঠিক পৌঁছতে পারবে।