দুশ্চিন্তা কমবে ই-ভেহিকল মালিকদের, আগামী তিন বছরে ১০ হাজার ইভি চার্জিং স্টেশন তৈরি করবে আইওসিএল
আইওসিএলের প্রত্যেক ২৫ কিলোমিটার অন্তর ৫০ কিলোওয়াটের ইভি চার্জিং স্টেশন আর প্রত্যেক ১০০ কিলোমিটার অন্তর ১০০ কিলোওয়াটের হেভি ডিউটি চার্জার তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে গ্রাহকদের নিজেদের ইলেকট্রিক বাহন চার্জ করতে সুবিধা হয়।
নতুন দিল্লি: দেশের সবচেয়ে বড় পেট্রোলিয়াম কোম্পানি ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন অর্থাৎ আইওসিএল আগামী তিন বছরে ইলেকট্রিক বাহনের (Electrical Vecicles) জন্য ১০ হাজার চার্জিং স্টেশন তৈরি করবে। এই কোম্পানি ২০৭০ পর্যন্ত দেশের কার্বন নির্গমণ শূন্য করার লক্ষ্যের অধীনে শক্তির উৎস পরিবর্তনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আইওসিএলের চেয়ারম্যান শ্রীকান্ত মাধব বৈদ্য বুধবার এ কথা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার সিওপি-২৬ চলাকালীন ২০৭০ পর্যন্ত ভারতকে শূন্য কার্বন নির্গমণ দেশ তৈরি করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। ভারত এই মুহূর্তে বিশ্বের তৃতীয় সবচেয়ে বেশি কার্বন নির্গমণ করা দেশ। শূন্য কার্বন নির্গমণের অর্থ, কোনও দেশ যতটা কার্বন নির্গমণ করবে, সেই সমান নতুন কার্বন সিঙ্ক (যেমন জঙ্গল) তৈরি করবে।
শ্রীকান্ত জানিয়েছেন, আইওসিএলের ধারণা, পেট্রোল আর ডিজেলের মতো জীবাশ্ম ইন্ধনগুলি আগামী কিছু দশকে ভারতে শক্তির প্রয়োজন পূরণ করতে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করবে। তাই তারা বাহন নির্মাতাদের ইলেকট্রিক বাহনের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য এবং গ্রাহকদের একটি সঠিক গতি প্রদানের বিশ্বাস দিতে একটি বেসিক পরিকাঠামো তৈরি করছে। তিনি বলেছেন, ‘দেশের শক্তির সীমা বাড়ছে। আমাদের একটি স্থির অর্থব্যবস্থা নেই। সবমিলিয়ে আমাদের শক্তির সীমা বাড়ছে আর এই কারণে শক্তির প্রয়োজন পূরণ করার জন্য সমস্ত রকমের ইন্ধনের প্রয়োজন পড়বে।’
শ্রীকান্ত আরও জানিয়েছেন, আইওসিএলের প্রত্যেক ২৫ কিলোমিটার অন্তর ৫০ কিলোওয়াটের ইভি চার্জিং স্টেশন আর প্রত্যেক ১০০ কিলোমিটার অন্তর ১০০ কিলোওয়াটের হেভি ডিউটি চার্জার তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে গ্রাহকদের নিজেদের ইলেকট্রিক বাহন চার্জ করতে সুবিধা হয়। এই চার্জিং স্টেশনগুলি দেশের মজুত বর্তমান এবং নতুন পেট্রোল পাম্পে তৈরি করা হবে।
চলতি বছরে ক্রমাগত বেড়েছে পেট্রোল ডিজেলের দাম। এবং তা এতটাই যে বর্তমানে দেশের প্রায় সব শহরেই জ্বালানি তেলের দাম রেকর্ড সর্বোচ্চ স্তরে রয়েছে। গত এক মাসে প্রায় রোজই বেড়েছে পেট্রোল ডিজেলের দাম। যা নিয়ে সারা দেশজুড়েই চলেছে প্রতিবাদ। কলকাতাতেও পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম সেঞ্চুরি ছুঁয়েছে। পাশাপাশি পেট্রোপণ্যের উৎপাদন শুল্ক থেকে ৩৩ শতাংশ আয় বেড়েছে কেন্দ্রীয় সরকারেরও। যদিও আজ পেট্রো পণ্যের দাম কমানো হয়েছে সরকারের তরফেও। কিন্তু তাতেও সাধারণ মানুষের জ্বালানির জ্বালা কম হয়নি কিছু। এই অবস্থায় আইওসিএলের এই ঘোষণা অনেকটাই স্বস্তি দিতে পারে সাধারণ মানুষকে।