Cricket নাকি Business, কোন কোন রাস্তা দিয়ে টাকা আসে IPL-এ, জানেন?
Indian Premier League: আইপিএলের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস হল সম্প্রচার স্বত্ব। স্টার স্পোর্টস, ভায়াকম ১৮-এর মতো সম্প্রচারকারীরা টিভি বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আইপিএল দেখানোর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে।

ক্রিকেটকে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে ও আরও বেশি জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় করে তুলতে ২০০৮ সালে শুরু হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএল। আর আজ ১৮ বছর পার করে সেই আইপিএল বিশ্বের অন্যতম বড় টুর্নামেন্টে পরিণত হয়েছে। সে আয়ের দিক থেকেই হোক বা ভিউয়ারশিপের দিক থেকেই হোক। আশা করা হচ্ছে এই বছরের মধ্যে আইপিএলের ব্র্যান্ডভ্যালু ৭০০০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।
কীভাবে বাড়ছে আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু
আইপিএলের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াতে সবচেয়ে অবদান রেখেছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন। ২০২৫ সালে টিভি, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, টিম স্পনসরশিপ এবং মাঠের ভিতরের বিজ্ঞাপন থেকে আইপিএল প্রায় ৬ হাজার থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা বিজ্ঞাপন রাজস্ব আয় করবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর আইপিএলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির সঙ্গে একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থাও আইপিএলের ব্রডকাস্টার সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করছে।
আইপিএল শুধুমাত্র ভারতে জনপ্রিয় এমনটা নয়। বিদেশেও একইভাবে আইপিএলের ম্যাচে চোখ রাখেন প্রবাসী ভারতীয় থেকে বিদেশি অনেক মানুষ। ফলে বিজ্ঞাপনদাতাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র ভারতীয় জনগণ, এমনটা ভাবার কোনও কারণ বা অবকাশ নেই। তারা ভারতীয়দের সঙ্গে টার্গেট করছে বিদেশি থেকে প্রবাসী ভারতীয়দেরও।
ক্রিকেটে কীভাবে টাকার লড়াই এল?
মিডিয়া রাইটস
আইপিএলের সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস হল সম্প্রচার স্বত্ব। স্টার স্পোর্টস, ভায়াকম ১৮-এর মতো সম্প্রচারকারীরা টিভি বা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আইপিএল দেখানোর জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেছে। ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের আইপিএল দেখানোর জন্য স্টার স্পোর্টস ২৩ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা দিয়ে ব্রডকাস্টিং রাইটস ও ২৩ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকা ভায়াকম ১৮ ডিজিটাল রাইটস কিনেছিল।
স্পনশরশিপ ও ব্র্যান্ডিং
আইপিএলের প্রতিটা দলের একাধিক স্পনসর থাকে। জার্সি স্পনসর, অফিশিয়াল ড্রিঙ্ক স্পনসর। এ ছাড়াও আইপিএলের টাইটেল স্পনসরের থেকেও মোটা অঙ্কের টাকা পায় বিসিসিআই।
দলের মূল্য
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স, চেন্নাই সুপার কিংস, কলকাতা নাইট রাইডার্সের মতো দলগুলো আজ শুধু আইপিএলের দল নেই। হাজার হাজার কোটি টাকার সংস্থায় পরিণত হয়েছে। মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতা ও ব্যাঙ্গালুরু: চারটি দলের মিলিত ব্র্যান্ড মূল্য আজ ১০০ মিলিয়ন ডলার বা ৮৫৬ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
টিকিট ও মার্চেন্ডাইজ বিক্রি
আইপিএলের প্রতিটি ম্যাচে হাজার হাজার দর্শক আসেন খেলা দেখতে। তাঁরা টিকিট কেনেন। এ ছাড়াও আইপিএলের দলগুলো জার্সি, টুপি, টিশার্ট বা স্কার্ফের মতো পণ্য বিক্রি করে বিপুল টাকা উপার্জন করে।
বিশ্বব্যাপী আবেদন
আইপিএল শুধু ভারতেই নয়, গোটা পৃথিবীতে দেখা হয় আইপিএল। ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেখা যায় আইপিএলের বিজ্ঞাপনও। ফলত, বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছে তাদের সংস্থাকে গোটা পৃথিবীতে পরিচিত করার সুযোগ করে দেয় আইপিএল।
সময় যত এগোচ্ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আইপিএলের বিভিন্ন নতুন নতুন ব্যাপার। এর মধ্যে রয়েছে ফ্যান্টাসি লিগ, এনএফটি কার্ড, ফ্যানপার্কের মতো বিষয়। আর এই ভাবেই একটি টুর্নামেন্ট থেকে একটি কোটি কোটি টাকার ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে আইপিএল।





