PF Account: টাকা জমানোর কথা ভাবছেন? কত ধরনের প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট আছে, জেনে নিন..

PF Account: ইপিএফ যেমন বাধ্যতামূলক, পিপিএফ কিন্তু সেভাবে বাধ্যতামূলক নয়। যেকোনও ভারতীয় নাগরিকই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন, এক্ষেত্রে কোনও সংস্থায় কর্মী হওয়া বাধ্যতামূলক নয়।

PF Account: টাকা জমানোর কথা ভাবছেন? কত ধরনের প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট আছে, জেনে নিন..
এই অ্য়াকাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র হল আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার আইডি, পাসপোর্ট, গেজেটেড অফিসারের স্বাক্ষরিত মানরেগা জব কার্ড। আর যেকোনও ব্যাঙ্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এই অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আবেদনপত্র পাওয়া যাবে। তা পূরণ করে ব্যাঙ্কের শাখায় জমা দিলেই জন ধন অ্যাকাউন্ট খোলা যাবে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 04, 2022 | 8:00 AM

নয়া দিল্লি: চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণের পর আর্থিক ভরসা হয়ে ওঠে প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিএফ অ্যাকাউন্টই। প্রতি মাসে বেতন থেকে একটি স্বল্প অঙ্ক কেটে নেওয়া হয় প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা দেওয়ার জন্য, অবসরের পর একসঙ্গে সেই জমা অর্থ পাওয়া যায়। অবসরের পরে আর্থিক সুরক্ষার জন্যই এই প্রভিডেন্ট ফান্ডের ব্যবস্থা। সেই কারণেই পিএফ অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে সচেতন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

চাকুরিরতদের প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট থাকলেও, অনেকেই জানেন না যে প্রভিডেন্ট ফান্ডও অনেক রকমের হয়। এগুলি হল- এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড, পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড ও জেনেরাল প্রভিডেন্ট ফান্ড।

এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)-

এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফ হল বেতনভুক্ত কর্মীদের জন্য। সরকারি কর্মী ছাড়া বাকি সকল কর্মীদেরই ইপিএফ অ্যাকাউন্ট থাকে। কেন্দ্রের অধীনে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট অর্গানাইজেশনের তরফে এই অ্যাকাউন্ট পরিচালন করে। কোনও সংস্থায় যদি ২০ জনের বেশি কর্মচারী থাকে,তবে সকল কর্মীর জন্য অবসরকালীন আর্থিক সুবিধা বা এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক।

ইপিএফও-র নিয়ম অনুযায়ী, কর্মীরা নিজেদের বেসিক স্যালারি ও ডিএ-র সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ অর্থাৎ ১৫ হাজার টাকা দেন। বাকি ১২ শতাংশ সংস্থার তরফে দেওয়া হয়। সংস্থার তরফে যে বরাদ্দ অর্থ দেওয়া হয়, তারমধ্যে ৮.৩৩ শতাংশ এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিমে জমা পড়ে। বাকি ৩.৬৭ শতাংশ এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড বা ইপিএফে জমা পড়ে। ২০২২-২৩ সালে ইপিএফে সুদের হার ৮.১০ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে।

অবসরের পর যেমন কর্মীরা ইপিএফ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে পারেন, তেমনই আবার চাকরি বদলের সময়ও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারেন। আবার আর্থিক প্রয়োজনে অনেকে ইপিএফে জমা টাকার অর্ধেক তুলে নিতে পারেন।

পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ)-

 ইপিএফ যেমন বাধ্যতামূলক, পিপিএফ কিন্তু সেভাবে বাধ্যতামূলক নয়। যেকোনও ভারতীয় নাগরিকই পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন, এক্ষেত্রে কোনও সংস্থায় কর্মী হওয়া বাধ্যতামূলক নয়। প্রত্যেক অর্থবর্ষে একজন গ্রাহক সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা এবং সর্বাধিক ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা রাখতে পারেন।

পিপিএফ অ্যাকাউন্টের মেয়াদ ১৫ বছর হয়। তবে কোনও গ্রাহক চাইলে ৫ বছর অবধি সেই অ্যাকাউন্টের মেয়াদ বাড়ানো যায়। অন্যদিকে, পিপিএফ অ্যাকাউন্ট খোলার ৭ বছর পর থেকে এই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা যায়। প্রত্যেক ত্রৈমাসিকেই কেন্দ্রের তরফে পিপিএফের সুদের হার ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে  সুদের হার ৭.১ শতাংশ।

জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ)-

জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড শুধুমাত্র সরকারি কর্মীদের জন্যই হয়। চুক্তিভিত্তিক, স্থায়ী সরকারি কর্মী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মী, যাদের সরকারি কাজে ফের নিয়োগ করা হয়েছে, তারা জিপিএফ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। এরজন্য কর্মীদের মাসিক বেতনের ন্যূনতম ৬ শতাংশ বিনিয়োগ করতে হবে জিপিএফ অ্যাকাউন্টে। জিপিএফের ক্ষেত্রে সুদের হার ৭.১ শতাংশ।