AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

MiG-41: কয়েক বছরেই উড়বে রাশিয়ার সিক্সথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান, ভারতেও কি আসবে?

Russian Sixth Generation Fighter Jet: রাশিয়ার নতুন এই যুদ্ধবিমান, মিগ ৪১ আসলে একটি 'সিক্সথ জেনারেশন' ইন্টারসেপ্টর। জানা গিয়েছে, এর গতি হতে চলেছে ম্যাক ৪-এর বেশি। শত্রুপক্ষের হাইপারসনিক মিসাইল ধ্বংস করতেই এই নতুন বিমান নিয়ে আসতে চলেছে রস্টেক।

MiG-41: কয়েক বছরেই উড়বে রাশিয়ার সিক্সথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান, ভারতেও কি আসবে?
এবার আসছে সিক্সথ জেনারেশন ফাইটার জেট?Image Credit: xia yuan/Moment/Getty Images
| Updated on: Oct 24, 2025 | 10:30 AM
Share

২০২১ সালের ২৪ জানুয়ারি রাশিয়ার সরকারি সংস্থা রস্টেক নয়া এক যুদ্ধবিমানের ঘোষণা করেছে। যে বিমান বাস্তবে তৈরি হলে ভয়ে থাকবে আমেরিকা থেকে চিন, সব দেশই। কিন্তু কী এই নতুন যুদ্ধবিমান? আসলে রস্টেক বলেছে, তারা মিগ ৪১ তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছে।

দাবি করা হচ্ছে, রাশিয়ার নতুন এই যুদ্ধবিমান, মিগ ৪১ আসলে একটি ‘সিক্সথ জেনারেশন’ ইন্টারসেপ্টর। জানা গিয়েছে, এর গতি হতে চলেছে ম্যাক ৪-এর বেশি। শত্রুপক্ষের হাইপারসনিক মিসাইল ধ্বংস করতেই এই নতুন বিমান নিয়ে আসতে চলেছে রস্টেক। জানা গিয়েছে, এই বিমানটি রাশিয়ার বহু পুরনো মিগ ৩১ ফক্সহাউন্ডের জায়গা নেবে।

কিন্তু এই সবটাই কি বাস্তব?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়ার এই মিগ ৪১ এখনও পর্যন্ত একটি ধারণা মাত্র। এখনও এর কোনও প্রোটোটাইপও তৈরি হয়নি। কিন্তু এমন কেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মস্কোর আসল সমস্যা অন্য জায়গায়। ইউক্রেন যুদ্ধ, পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা এবং বাজেট ঘাটতির মতো বেশ কিছু বিষয় রাশিয়ার সামরিক শিল্পকে কার্যত পঙ্গু করে দিয়েছে। ফিফথ জেনারেশনের সুখোই ৫৭ যুদ্ধবিমান তৈরি করা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত সাফল্য অর্জন করেনি রাশিয়া। ফলে, নয়া এই মিগ যে ভারতে আসবে, এমন কোনও সম্ভাবনার কথা এখনও শোনা যাচ্ছে না। আর সুদূর ভবিষ্যতেও যে শোনা যাবে, এমনও নয়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মিগ ৪১ আসলে রাশিয়ার একটি ‘সিগন্যালিং অ্যাসেট’। অর্থাৎ, এটি সামরিক ক্ষমতার আস্ফালন মাত্র, এখনও এই মিগ ৪১ বাস্তব ক্ষমতা নয়। উল্লেখ্য, প্রথমে রাশিয়ার তরফে জানা গিয়েছিল এই বিমান ২০২৫ সালের মধ্যে প্রথম উড়ান দেবে। কিন্তু পরবর্তীতে সেই সময়সীমা পিছিয়ে ২০৩০-এর মাঝামাঝি করা হয়েছে। আর এর ফলে স্পষ্ট যে এই মুহূর্তে মস্কোর উচ্চাকাঙ্ক্ষা কতটা। আর সেই উচ্চাকাঙ্খাকে বাস্তবে পরিণত করতে তাদের ঠিক কতটা পথ যেতে হবে।