Oil Crisis: ১ সপ্তাহ ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধ চললে ভারতে পেট্রোলের দাম কত বাড়তে পারে জানেন?
Iran-Israel Conflict: তেহরানে যে তেলের পরিশোধনাগারে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল, তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৩০০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩০ কোটি লিটার তেল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ তেল নষ্ট হওয়ায়, ইরান থেকে ভারত সহ বিশ্বের নানা প্রান্তে যে তেল সরবরাহ হত, তা ব্যাহত হবে।

তেহরান: নিজেদের মধ্যে যুদ্ধ করতে গিয়ে গোটা বিশ্বকে বিপদের মুখে ফেলে দিল ইরান-ইজরায়েল। পরমাণু কেন্দ্র, মিসাইল ভাণ্ডারের পর এবার ইরানের তেল পরিশোধনাগারে হামলা চালাল ইজরায়েল। মিসাইলের হামলায় বিধ্বস্ত তেহরান সহ একাধিক জায়গায় ওয়েল রিফাইনারিগুলি। জ্বলছে বিশ্বের বৃহত্তম প্রাকৃতিক গ্যাস ফিল্ড সাউথ পার্স-ও। আর এতেই সঙ্কটে বিশ্ব।
জানা গিয়েছে, তেহরানে যে তেলের পরিশোধনাগারে হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল, তাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ৩০০ মিলিয়ন অর্থাৎ ৩০ কোটি লিটার তেল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ তেল নষ্ট হওয়ায়, ইরান থেকে ভারত সহ বিশ্বের নানা প্রান্তে যে তেল সরবরাহ হত, তা ব্যাহত হবে।
সাউথ পার্স গ্যাস ফিল্ডে ইজরায়েলের হামলার পর ইরান গ্যাস উৎপাদন আংশিক বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। এর জেরে দৈনিক ১২ মিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস উৎপাদনে ঘাটতি দেখা যাবে। ইরান বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গ্য়াস উৎপাদক। বিশ্বের বার্ষিক চাহিদার প্রায় ৬.৫ শতাংশই পূরণ করে ইরান।
অন্যদিকে, প্রত্য়াঘাতে ইজরায়েলের তেলের ভাণ্ডারেও আক্রমণ করেছে ইরান। সেখানেও বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, লক্ষ লক্ষ লিটার তেল নষ্ট হয়েছে।
মধ্য প্রাচ্যের উপরই বিশ্বের একটা বড় অংশ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের জন্য নির্ভরশীল। ভারত তার মধ্যে অন্যতম। ইরান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, ইজরায়েল সহ একাধিক দেশ থেকে তেল আমদানি করে ভারত। দেশে যে পরিমাণ তেলের প্রয়োজন হয়, তার ৯০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের ক্ষেত্রেও ৭০ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়।
যুদ্ধ আবহে ইতিমধ্যেই চড়তে শুরু করেছে অপরিশোধিত তেলের দাম। একদিনেই ক্রুড ওয়েলের দাম ৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে। আগে যেখানে ব্যারেল প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ ডলার খরচ পড়ত, তা এখন বেড়ে দাড়িয়েছে ৭৮.৫০ ডলারে, যা জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। ব্রেন্ট ওয়েলের দামও ১২.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই সংঘাত যদি এক সপ্তাহও চলে, তবে তেলের দাম ব্যারেল পিছু ১০০ ডলারে পৌঁছতে পারে। সেক্ষেত্রে ভারত সহ একাধিক দেশেই তেল ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের দাম হু হু করে বাড়তে পারে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যদি এখনই যুদ্ধ না থামে, তবে দেশে পেট্রোল-ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ২০০ টাকা বা তার বেশিও হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে চরম সমস্যায় পড়তে হবে মধ্যবিত্তদের। জ্বালানির দাম বাড়লে, আনুসাঙ্গিক সবকিছুরই দাম বাড়বে। অগ্নিমূল্য হতে পারে শাক-সবজি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী।
যদিও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী জানিয়েছেন যে ভারতে পর্যাপ্ত তেল ও গ্যাস মজুত রয়েছে। ইরান-ইজরায়েলের যুদ্ধের আঁচ সেভাবে পড়বে না।





