Patanjali: গঙ্গার তীরে বিনামূল্যে বিতরণ করা হত, আজ ব্র্যান্ডে পরিণত পতঞ্জলির ‘দন্ত কান্তি’
Patanjali: এই গুঁড়ো মাজন যোগগুরু রামদেবের যোগ শিবির, ত্রাণ শিবির, স্থানীয় মেলা, অনাথ আশ্রম, বৃদ্ধাশ্রম এবং হরিদ্বারে গঙ্গার তীরে বিনামূল্যে বিতরণ করা হত। জনসাধারণের কাছ থেকে ভাল সাড়া পাওয়ার পর, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিশেষজ্ঞরা এটিকে 'দন্ত কান্তি' বানাতে উদ্যোগী হন।

নয়াদিল্লি: যোগগুরু রামদেব এবং আচার্য বালকৃষ্ণের পতঞ্জলি কোম্পানির আয়ুর্বেদ টুথপেস্ট ‘পতঞ্জলি দন্ত কান্তি’ আজ অতি পরিচিত নাম। এর ব্র্যান্ড মূল্য কয়েক কোটিতে পৌঁছেছে। কিন্তু এই টুথপেস্টের পথচলার শুরুর গল্পটি বেশ আকর্ষণীয়। কোটি কোটি টাকার ব্র্যান্ডে পরিণত হওয়া এই দন্ত কান্তির পথচলা শুরু হয় হরিদ্বারে গঙ্গার তীরে। বিনামূল্যে বিতরণের মাধ্যমে।
‘পতঞ্জলি দন্ত কান্তি’ টুথপেস্ট হওয়ার আগে, এটি একটি আয়ুর্বেদিক গুঁড়ো ছিল। এটি আয়ুর্বেদ এবং ভারতের পরম্পরার উপর ভিত্তি করে তৈরি গুঁড়ো মাজন, যা ভারতে টুথপেস্ট আসার আগে সাধারণ পরিবারে ব্যবহৃত হত।
এই গুঁড়ো মাজন যোগগুরু রামদেবের যোগ শিবির, ত্রাণ শিবির, স্থানীয় মেলা, অনাথ আশ্রম, বৃদ্ধাশ্রম এবং হরিদ্বারে গঙ্গার তীরে বিনামূল্যে বিতরণ করা হত। জনসাধারণের কাছ থেকে ভাল সাড়া পাওয়ার পর, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিশেষজ্ঞরা এটিকে ‘দন্ত কান্তি’ বানাতে উদ্যোগী হন।
টুথপেস্ট এবং গুঁড়ো মাজনের নিজস্ব গুণাবলী রয়েছে। কিন্তু টুথপেস্ট কেবল দাঁত পরিষ্কার করে, ভারতীয় জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে প্রস্তুত গুঁড়ো মাজন দাঁতের সমস্যার সমাধান করে। এমন পরিস্থিতিতে, পতঞ্জলির বিশেষজ্ঞরা এই উভয়ের বৈশিষ্ট্য মিশিয়ে ‘দন্ত কান্তি’ তৈরি করেন।
২০০২ সালে, পতঞ্জলির দল একটি ভেষজ টুথপেস্ট তৈরির কাজ করছিল। প্রাথমিকভাবে, পতঞ্জলি গঙ্গার তীরে বিনামূল্যে যে গুঁড়ো মাজন বিতরণ করত, তা টুথপেস্টের ভিত্তি হিসেবে ব্যবহার করে ‘দন্ত কান্তি’তে রূপান্তরিত করা হয়। পরে, ভেষজ নির্যাস এবং প্রয়োজনীয় তেল মিশ্রিত করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে মানুষ যে টুথপেস্টের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, সেই টুথপেস্ট পেলেন তাঁরা।
আয়ুর্বেদিক উপাদান এবং বৈশিষ্ট্যের কারণে, ‘পতঞ্জলি দন্ত কান্তি’ শীঘ্রই সাধারণ পরিবারগুলির মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে শুধুমাত্র ‘দন্ত কান্তি’ পতঞ্জলিকে ৪৮৫ কোটি টাকা লাভ দিয়েছে। আজ, পতঞ্জলি দন্ত কান্তি কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করেন। এর ব্র্যান্ড মূল্য কয়েক কোটি টাকায় পৌঁছেছে।





