OpenAI: দিনে খরচ ৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা! ২০২৪ সালের মধ্যে দেউলিয়া হয়ে যাবে OpenAI?

Bankruptcy: চ্যাটজিপিটির পিছনে যে হারে টাকা খরচ হচ্ছে, তাতে ২০২৪ সালের মধ্যে ওপেনএআই দেউলিয়া হয়ে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও অবধি ওপেনএআই লাভজনক প্রকল্প হয়ে দাঁড়ায়নি।

OpenAI: দিনে খরচ ৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা! ২০২৪ সালের মধ্যে দেউলিয়া হয়ে যাবে OpenAI?
দেউলিয়া হয়ে যাবে ওপেনএআই?Image Credit source: Website
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 15, 2023 | 7:35 AM

সান ফ্রান্সিসকো: সাধারণ মানুষের চাকরি কাড়তে আসছে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (Artificial Intelligence) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ইতিমধ্যেই কর্মজগতে আলোড়ন ফেলেছে চ্য়াটজিপিটি (ChatGPT)। আশঙ্কা, ২০২৮ সালের মধ্যেই বিশ্বের প্রায় ২ কোটিরও বেশি মানুষ চাকরি খোয়াতে পারেন। এই কাজগুলিতে কর্মীদের জায়গা নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কিন্তু এরই মধ্যে উদ্বেগজনক খবর মিলল। একটি সাম্প্রতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওপেনওআই (OpenAI) সংস্থা ২০২৪ সালের শেষভাগের মধ্যেই দেউলিয়া (Bankrupt) হয়ে যেতে পারে।

অ্যানালিটিক্স ইন্ডিয়া ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ওপেনএআই (OpenAI)-র এআই পরিষেবা চ্যাটজিপিটি চালানোর জন্য প্রতিদিন ৭ লক্ষ ডলার খরচ হচ্ছে, ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক ৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। স্য়াম অল্টম্যানের সংস্থা যেভাবে টাকা খরচ করছে, তাতে আগামিদিনে তাদের হাতে আর কোনও টাকা থাকবে না। জিপিটি৩.৫ ও জিপিটি-৪ থেকে টাকা উপার্জনের চেষ্টা করলেও, তা খুব একটা লাভজনক হচ্ছে না।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে চ্যাটজিপিটি আত্মপ্রকাশ করে। বিশ্বের সবথেকে দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়া অ্য়াপ্লিকেশন চ্যাটজিপিটি। প্রাথমিক স্তরে যখন জনপ্রিয়তা পায় চ্যাটজিপিটি, তখন ব্যাপক হারে ব্য়বহারকারী বেড়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক কয়েক মাসে চ্য়াটজিপিটির ব্যবহারকারীর সংখ্যা কমতে শুরু করেছে। জুলাই মাসে এক ধাক্কায় ব্য়বহারকারী ১২ শতাংশ কমে যায়, গ্রাহক সংখ্যা কার্যত তলানিতে এসে ঠেকে।

চ্যাটজিপিটির পিছনে যে হারে টাকা খরচ হচ্ছে, তাতে ২০২৪ সালের মধ্যে ওপেনএআই দেউলিয়া হয়ে যাবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখনও অবধি ওপেনএআই লাভজনক প্রকল্প হয়ে দাঁড়ায়নি। মে মাসে চ্য়াটজিপিটির ক্ষতির অঙ্ক ছিল ৫৪০ মিলিয়ন ডলার। মাইক্রোসফট চ্যাটজিপিটি-তে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিল, তাই বর্তমানে টিকিয়ে রেখেছে ওপেনএআই সংস্থাকে।

চ্যাটজিপিটির উন্নতির পথে কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আরও একটি সমস্যা। বর্তমানে একাধিক ওপেন সোর্স এলএলএম মডেল রয়েছে, যা বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। কোনও লাইসেন্সেরও প্রয়োজন পড়ে না।  যেমন মেটা সংস্থা মাইক্রোসফটের সঙ্গে অংশীদারিত্বে লামা ২ (Llama 2) এনেছে, যা বাণিজ্য়িক ক্ষেত্রে ব্য়বহার করা হয়। এর কাজ চ্যাটজিপিটির মতোই। ফলে বিনামূল্যে লামা ২ ব্য়বহার করার বদলে সাধারণ মানুষ বা সংস্থা গ্য়াঁটের কড়ি খরচ করে চ্যাটজিপিটি কেন ব্যবহার করবে?