LPG Cylinder Price Hike: আরও মহার্ঘ রান্নার গ্যাস, এক ধাক্কায় ১০৩ টাকা বাড়ল ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম

Commerical LPG Cylinder: ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাস অর্থাৎ ১৯ কেজির সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হচ্ছে ২ হাজার ১৭৭ টাকা।

LPG Cylinder Price Hike: আরও মহার্ঘ রান্নার গ্যাস, এক ধাক্কায় ১০৩ টাকা বাড়ল ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের দাম
বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম (ফাইল ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 30, 2021 | 10:14 PM

কলকাতা: ফের দাম বাড়ছে রান্নার গ্যাসের। আগামিকাল অর্থাৎ, ১ ডিসেম্বর থেকেই বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম। বাণিজ্যিক রান্নার গ্যাস অর্থাৎ, ভর্তুকিহীন সিলিন্ডারের উপর এক ধাক্কায় ১০৩ টাকা ৫০ পয়সা বাড়ছে দাম। এখন ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাস অর্থাৎ ১৯ কেজির সিলিন্ডারের দাম বেড়ে হচ্ছে ২ হাজার ১৭৭ টাকা।

তবে বাড়ির হেঁশেলে এখনই চিন্তার কোনও কারণ নেই। ভর্তুকিযুক্ত রান্নার গ্যাস অর্থাৎ, বাড়ির রান্নার গ্যাসের দাম আপাতত বাড়ানো হচ্ছে না। ১৪.২ কেজি ওজনের ঘরোয়া রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম থাকছে ৯২৬ টাকা।

উল্লেখ্য, সপ্তাহ খানেক আগে বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল, সরকার গ্যাসে ভর্তুকির বিষয়ে বেশ কয়েকবার আলোচনা করেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের তরফে কোনও পরিকল্পনা করা যায়নি। রিপোর্টের মোতাবেক সরকারের কাছে দুটি বিকল্প রয়েছে। প্রথমত, বিনা ভর্তুকিতে সিলিন্ডার সরবরাহ করা। দ্বিতীয়ত, কিছু গ্রাহককে ভর্তুকি দেওয়া।

ভর্তুকি নিয়ে সরকারের তরফ থেকে এখনও কিছু পরিস্কার করা হয়নি। খবর অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ১০ লাখ টাকা আয়ের নিয়ম বজায় রাখা হবে আর উজ্বলা যোজনার (Ujjwala Scheme) অধীনে থাকা গ্রাহকরা ভর্তুকি পাবেন। বাকিদের ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। প্রসঙ্গত ২০১৬য় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দরিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষজনের জন্য শুরু করেছিলেন। ভারতে প্রায় ২৯ কোটির বেশি মানুষের কাছে এলপিজি কানেকশন রয়েছে। এর মধ্যে উজ্বলা যোজনার অধীনে প্রায় ৮.৮ কোটি এলপিজি কানেকশন রয়েছে। ২০২২ অর্থ বর্ষে, সরকার এই যোজনার অধীনে আরও এক কোটি কানেকশন যোগ করার পরিকল্পনা করছে।

২০২০-তে যখন করোনা অতিমারীর কারণে সারা বিশ্বে লকডাউন করা হয়েছিল সেই সময় অপরিশোধিত তেলের দাম কমে যায়। এর ফলে ভারত সরকার এলপিজি সাবসিডি যোজনায় লাভবান হয়েছিল, কারণ দাম কম ছিল আর সাবসিডি নিয়ে পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল না। মে ২০২০ থেকে বেশকিছু এলাকায় এলপিজির সাবসিডি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তবে ব্যতিক্রমও ছিল, বিশেষত যারা দূর দূরান্তের গ্রামাঞ্চলে থাকেন এবং এলপিজি প্ল্যান্ট থেকে দূরে থাকেন।

২০২১ অর্থ বছরে সাবসিডির উপর সরকারের খরচ ছিল ৩,৫৫৯ কোটি টাকা ছিল। ২০২০ অর্থ বর্ষে যা ছিল ২৪,৪৬৮ কোটি টাকা। আসলে এটি ডিবিটি স্কীমের অধীনে ছিল, যা ২০১৫য় শুরু করা হয়েছিল। এই স্কীমে যারা সাবসিডির আওতায় ছিলেন না, তাদের এলপিজি সিলিন্ডারের সম্পূর্ণ মূল্য দিতে হত। সরকারের তরফে সাবসিডির টাকা গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রিফান্ড করে দেওয়া হয়। যেহেতু এই রিফান্ড সরাসরি হয় এই কারণে এই স্কীমের নাম DBTL রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন : Twitter CEO Parag Agarwal: বায়ো বৃত্তান্ত: বম্বে আইআইটি থেকে বার্ষিক সাড়ে সাত কোটি টাকার মাহিনা… টুইটার সিইওর সিড়ি ভাঙার অঙ্ক