RBI New Guidelines on Loans: ইএমআই মিস করেছেন? ক্রেডিট স্কোর সংক্রান্ত নিয়মে এবার বড় বদল করল আরবিআই
Loan And EMI: ঋণ মঞ্জুরের করার জন্য ব্যাঙ্ক শুধুমাত্র লেটেস্ট ক্রেডিট স্কোর বিচার করবে, এমনটা আর হবে না। আবেদনকারীর গত ১ বছরের ক্রেডিট স্কোর খতিয়ে দেখতে হবে ঋণ প্রদানকারী সংস্থাকে। এ ছাড়াও তাঁর আয় ও ইএমআইয়ের পরিমাণ হিসেব করে তবেই ঋণ মঞ্জুরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।
আপনার কি কোনও ইএমআই চলছে? তারপর আপনি অন্য কোনও লোন নেওয়ার কথা ভাবছেন? হোম লোন, কার লোন বা পার্সোনাল লোন আপনি যে লোনই নিন না, এই খবর আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর যাঁরা এখন এমন কোনও প্ল্যান করছেন না, তাঁদের জন্যও এই খবর কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ বিষয়টা টাকা পয়সা সংক্রান্ত, ক্রেডিট স্কোর সংক্রান্ত।
আরবিআইয়ের নির্দেশ অনুযায়ী দু-সপ্তাহে একবার ক্রেডিট এজেন্সির কাছে গ্রাহকদের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য দেবে ব্যাঙ্ক-সহ সব আর্থিক সংস্থা। সেই অনুযায়ী, ১৫ দিনে একবার গ্রাহকদের ক্রেডিট স্কোর আপডেট করা হবে। আগে ৪৫ দিন অন্তর গ্রাহকদের ঋণ সংক্রান্ত তথ্য ক্রেডিট এজেন্সির কাছে পাঠাতে হত। আর ওই ৪৫ দিন অন্তরই ক্রেডিট স্কোর আপডেট করত সিবিলের মতো সংস্থা।
এ ছাড়া আরও কয়েকটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। প্রথমত, ঋণ মঞ্জুরের করার জন্য ব্যাঙ্ক শুধুমাত্র লেটেস্ট ক্রেডিট স্কোর বিচার করবে, এমনটা আর হবে না। আবেদনকারীর গত ১ বছরের ক্রেডিট স্কোর খতিয়ে দেখতে হবে ঋণ প্রদানকারী সংস্থাকে। এ ছাড়াও তাঁর আয় ও ইএমআইয়ের পরিমাণ হিসেব করে তবেই ঋণ মঞ্জুরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। দ্বিতীয়ত, কারও বেতনের ৫০ শতাংশের বেশি ইএমআই হলে সেই ব্যাক্তিকে নতুন করে আর ঋণ না দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। তৃতীয়ত, ব্যাঙ্কগুলো নানা ক্রেডিট এজেন্সিকে অনেক সময় ঠিকঠাক তথ্য দেয় না বলে অভিযোগ। এর প্রভাব পড়ে গ্রাহকের ক্রেডিট স্কোরে। লোন শোধ হয়ে যাওয়ার পরেও তা আপডেট না হওয়া, ক্রেডিট কার্ড অ্যাকাউন্ট ক্লোজ হওয়ার পরও সিবিলের খাতায় সেটা থেকে যাওয়া, এই ধরণের ভুরি ভুরি অভিযোগ ওঠে। আর সবক্ষেত্রেই এর ফল ভুগতে হয় সাধারণ মানুষকে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ, গ্রাহকের যাবতীয় তথ্য সময়ের মধ্যে ক্রেডিট সংস্থাকে পাঠাতে হবে। আবার ক্রেডিট সংস্থাকেও দায়িত্ব নিয়ে গ্রাহকের প্রোফাইলে তা আপডেট করতে হবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরামর্শ, সবাই বছরে অন্তত দু-বার নিজের ক্রেডিট রিপোর্ট খুঁটিয়ে দেখুন। কোনও অসঙ্গতি ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গেই তা ব্যাঙ্ককে রিপোর্ট করুন। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্রেডিট রেটিং এজেন্সির কাছেও অভিযোগ জানান। আরবিআইয়ের সাফ কথা, গ্রাহকের ক্রেডিং রেটিং রিপোর্টে অসঙ্গতি থাকলে ব্যাঙ্ক বা রেটিং সংস্থা, কেউই দায় এড়াতে পারে না। কোন ব্যাঙ্ক কোন এজেন্সির ক্রেডিট স্কোর ব্যবহার করে, তাও গ্রাহকদের জানানোর নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে যেমন ব্যাঙ্কের ঋণখেলাপির সম্ভাবনা কমবে। তেমনই গ্রাহকদের স্বার্থও সুরক্ষিত হবে।