
আগে বাইরে থেকে ফোন আমদানি করা হত ভারতে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রজেক্টের মধ্যে ভারতেই মোবাইল ফোন তৈরি শুরু হয়। তারপর বহুজাতিক ফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাপেল ভারতে তাদের মোবাইল অ্যাসেম্বেল করার কারখানা তৈরি করে। বর্তমানে ভারতে আইফোন অ্যাসেম্বল করা হয়। আর সেই ফোন শুধু ভারতের বাজারের চাহিদা মেটায় এমনটা নয়, তা বাইরের অন্যান্য দেশে রফতানিও করা হয়।
২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ৯ মাসে অ্যাপেলেই এই কারখানা প্রায় ১ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে। আর এই একই সময়ে টাটা স্টিলের আয় সেই সংস্থার থেকে মাত্র কিছুটা বেশ, ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা। দেশের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে এই ৯ মাসে টাটা স্টিলের থেকে বেশি রাজস্ব আয় করেছে একমাত্র টাটা মোটরস। এই ৯ মাসে তারা প্রায় ৩ লক্ষ ২৩ হাজার কোটি টাকা আয় করেছে। যদিও এই এর মধ্যে রয়েছে জাগুয়ার ও ল্যান্ড রোভার সংস্থা থেকে টাটা মোটরসের আয়ও। জাগুয়ার ও ল্যান্ড রোভারকে বাদ দিলে টাটা মোটরস এই ৩ ত্রৈমাসিকে আয় করেছে ৪২ হাজার ৪২০ কোটি টাকা।
ভারতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র অধীনে আইফোন উৎপাদনের জন্য যে কারখানা তৈরি হয়েছিল তা থেকে আশাতীত সাফল্য মিলেছে। মাত্র ৪ বছরে মোবাইল আমদানিকারক দেশ থেকে ভারত মোবাইল রফতানির হাবে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতে আইফোন তৈরি করে ৩টি সংস্থা। ফক্সকন, টাটা ইলেক্ট্রনিক্স ও পেগাট্রন। এই পেগাট্রন সংস্থাটিকে সাম্প্রতীক অতীতে টাটা অধিগ্রহণ করেছে। আর ভারতে যা আইফোন তৈরি হয় তার ৭০ শতাংশ ফোনই রফতানি করা হয়।
যদিও অ্যাপেল জানিয়েছে তাদের এই রাজস্ব শুধুমাত্র আইফোন বিক্রি থেকেই এসেছে। আইফোন নয়, এমন পণ্য থেকে আসা রাজস্ব তারা এখানে ধরেনি। আর টাটা স্টিলের পর অন্য স্টিল উৎপাদনকারী সংস্থা হিসাবে এই তালিকায় রয়েছে অ্যাপেলের পরই রয়েছে জেএসডব্লিউ স্টিল। ওই ৯ মাসে তারা প্রায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। আর আইফোনের উৎপাদনে এই রাজস্ব দেখে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, আগামীতে আরও শক্তিশালী হবে এই সেক্টর, আইফোন ছাড়াও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেটের।