Investment Tips: ২৫ হাজার টাকা বেতন হলে কোন নিয়মে SIP-তে বিনিয়োগ করলে অবসরের আগেই হবেন কোটি কোটি টাকার মালিক!
Systematic Investment Plan Calculation: বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, উপার্জন শুরু করার পর থেকেই বিনিয়োগ শুরু করতে। কিন্তু কোনও মানুষের ঠিক কত টাকা বিনিয়োগ করা উচিৎ?

সারা পৃথিবী ঘুরতে, নিজের ইচ্ছা মতো বাঁচতে কে না চায়। আর এইভাবে বাঁচতে চাইলে প্রয়োজন অনেক অর্থের। ফলে কোনও মানুষ যদি খুব দ্রুত অর্থনৈতিক স্বাধীনতা চায়, তাহলে উপার্জন করা শুরু করার পরই তাকে নজর দিতে হবে বিনিয়োগের দিকে। অনেকেই নিজেদের উপার্জনের অর্থ ফিক্সড ডিপোজিট বা রেকারিং ডিপোজিটে রাখে। কিন্তু তাতে সময়ের সঙ্গে অর্থ পরিমাণে খুব একটা বৃদ্ধি পায় না। আর সেই কারণেই বিশেষজ্ঞরা বলেন, শেয়ার বাজার, সোনা বা মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার কথা।
ফিক্সড ডিপোজিট বা রেকারিং ডিপোজিটে ব্যাঙ্কগুলো সাধারণত ৬ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে রিটার্ন দেয়। এই ধরণের স্কিমে কোনও ঝুঁকি নেই। কিন্তু এই রিটার্ন অনেক সময়ই মুদ্রাস্ফীতিকে পরাস্ত করতে পারে না। ফলে, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্থের পরিমাণ বাড়ে না। আর এই কারণেই বিনিয়োগ করা জরুরি।
বিনিয়োগের সবচেয়ে সহজ পন্থা হিসাবে শোনা যায় এসআইপি বা সিস্টেম্যাটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের নাম। লার্জ ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে বছরে গড়ে ১২ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যায়। অন্যদিকে, এই বিনিয়োগ মিড ক্যাপ ফান্ডে করা হয় তবে সেই রিটার্ন ১৫ শতাংশ আশা করা যায়। আবার, স্মল ক্যাপ ফান্ডে বিনিয়োগ করলে রিটার্ন ১৮ শতাংশও হতে পারে।
বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, উপার্জন শুরু করার পর থেকেই বিনিয়োগ শুরু করতে। কিন্তু কোনও মানুষের ঠিক কত টাকা বিনিয়োগ করা উচিৎ? এর উত্তর দেয় ৫০:৩০:২০-এর সূত্র। এই সূত্র মেনে কেউ যদি বিনিয়োগ করে তাহলে তার জীবনে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আসবে খুব তাড়াতাড়ি।
৫০:৩০:২০-এর সূত্র বলছে, নিজের উপার্জনের ৫০ শতাংশ নিজের ও পরিবারের সমস্ত প্রয়োজন মেটাতে ব্যবহার করতে হবে। এর মধ্যে বিভিন্ন ইএমআই, বিল সহ সব কিছুই থাকবে। বেতনের পরবর্তী ৩০ শতাংশ ব্যবহার করা যেতে পারে নিজের বা পরিবারের মানুষের শখ বা ইচ্ছা পূরণে। আর বাকি ২০ শতাংশ অবশ্যই বিনিয়োগ করা উচিৎ।
কারও বেতন যদি ২৫ হাজার টাকা হয় তবে সেই টাকার ২০ শতাংশ অর্থাৎ ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করা উচিৎ। বিনিয়োগকারী কোনও লার্জ ক্যাপ মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারে। এই ধরণের ফান্ডে বছরে গড়ে ১২ শতাংশ রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে। আর প্রতি বছর বিনিয়োগের অঙ্ক যদি ১০ শতাংশ হাতে বাড়ানো হয় তাহলে হিসাব বলছে বিনিয়োগের বয়স ২১ বছর হওয়ার আগেই বিনিয়োগকারী কোটি টাকার মালিক হয়ে যাবেন। আর বিনিয়োগের বয়স ৩০ বছর হতে না হতেই ওই ব্যক্তি প্রায় ৪ কোটি টাকার মালিক হবেন। অর্থাৎ, কেউ যদি চাকরি পেয়ে ২৫ বছর বয়স থেকেই বিনিয়োগ শুরু করে, তাহলে তার বয়স ৫৫ বছর হওয়ার আগেই সে ওই পরিমাণ টাকার মালিক হবে।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
