SIP, Investment Tips: মাত্র ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগে কয়েক বছরেই কোটিপতি হবেন আপনি!
Systematic Investment Plan: মাসিক সামান্য কিছু টাকা নিয়ম করে জমাতে থাকলে খুব তাড়াতাড়ি কোটি টাকার মুখ দেখতে পাবেন বিনিয়োগকারী।

মনে করুন আপনার কাছে কোটি টাকা রয়েছে। তাহলে কত সহজ হয়ে যেত না সব ব্যাপারটা? তবে, আজকের দিনে কোটি টাকা জমানোটা খুব কঠিন বিষয় নয়। মাসিক সামান্য কিছু টাকা নিয়ম করে জমাতে থাকলে খুব তাড়াতাড়ি কোটি টাকার মুখ দেখতে পাবেন বিনিয়োগকারী।
ধরা যাক, কোনও বিনিয়োগকারী মাসিক মাত্র ৫ হাজার টাকা কোনও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ শুরু করলে এসআইপির মাধ্যমে। আমরা মনে করতে পারি ওই মিউচুয়াল ফান্ডের রিটার্ন বছরে ১২ শতাংশ। ১৩ শতাংশ মনে করার কারণ, নিফটি ৫০ বা সেনসেক্সের মতো সূচক বছরে গড়ে ১২ শতাংশের আশেপাশেই রিটার্ন দেয়।
ওই মাসিক ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগকারীকে কোটি টাকার মালিক বানাতে পারে কয়েক বছরেই। তবে, তার জন্য বিনিয়োগকারীকে প্রতি বছর ওই ৫ হাজার টাকাকে ১০ শতাংশ হারে বাড়াতে হবে। অর্থাৎ প্রথম বছর যদি প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা দেয় বিনিয়োগকারী, তাহলে দ্বিতীয় বছর ওই টাকার অঙ্ক ১০ শতাংশ বাড়িয়ে অন্তত ৫ হাজার ৫০০ টাকা করে দিতে হবে। এইভাবে চলতে থাকলে ৫ বছরে বিনিয়োগের অঙ্কটা দাঁড়াবে ৩ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকায়। আর তার উপর রিটার্ন আসবে ১ লক্ষ ১৮ হাজার টাকার মতো।
এই এসআইপি এই একই নিয়মে যদি আরও ৫ বছর চলে, তাহলে ১০ বছর শেষে মোট বিনিয়োগ হবে ৯ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা। আর রিটার্ন সমেত মোট টাকার অঙ্কট দাঁড়াবে ১৬ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকার বেশি। এভাবে আরও ৫টা বছর যদি কেটে যায় তাহলে এসআইপি শুরু করার ১৫ বছর পর বিনিয়োগ হবে ১৯ লক্ষ টাকার কিছুটা বেশি। আর বাৎসরিক ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন এলে রিটার্ন সমেত মোট টাকার অঙ্ক দাঁড়াবে ৪১ লক্ষ টাকার কাছাকাছি।
এসআইপি যখন ২০ বছর পার করবে তখন রিটার্ন সমেত টাকার অঙ্ক কিন্তু প্রায় ১ কোটি ছুঁইছুঁই। আর ৬টা মাস অপেক্ষা করলে, ঠিক ২০ বছর ৬ মাসের মাথায় ওই এসআইপির মোট মূল্য গিয়ে দাঁড়াবে ১ কোটি ৬৭ হাজার টাকায়। অর্থাৎ, ২০ বছর ৬ মাস যদি কেউ এইভাবে নিয়ম মেনে বিনিয়োগ করে তাহলে সে কোটিপতি হবেই। তবে শুরুটা কিন্তু করা যেতে পারে মাত্র ৫ হাজার টাকা দিয়েই।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
