AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Purba Bardhaman: বিহারের নম্বর প্লেট, দেখে মনে হয় ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’! ট্রেনে চাপিয়ে বিজেপি নেতার নামে বর্ধমানে এল ৫৫টি বাইক

55 Bikes Received By a BJP Leader: তাঁদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে প্রায় ৫৫টি বাইক আনিয়েছে বিজেপি। সবগুলি জেলার পার্টি অফিসে রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাইকগুলির সম্পূর্ণ নথি-তথ্য প্রকাশ না করা পর্যন্ত কোনওভাবেই সেগুলি রাস্তায় নামতে দেবে না তাঁরা এমনকি কোন উদ্দেশ্য পূরণে এতগুলি বাইক আনা হয়েছে, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলে ঘাসফুল শিবির।

Purba Bardhaman: বিহারের নম্বর প্লেট, দেখে মনে হয় 'সেকেন্ড হ্যান্ড'! ট্রেনে চাপিয়ে বিজেপি নেতার নামে বর্ধমানে এল ৫৫টি বাইক
এল সারি সারি বাইকImage Credit: নিজস্ব চিত্র
| Edited By: | Updated on: Dec 21, 2025 | 8:47 PM
Share

পূর্ব বর্ধমান: বিহারের নম্বর প্লেট, দেখতেও পুরনো, যেন সেকেন্ড-হ্যান্ড। দোরগোড়ায় বাংলার বিধানসভা নির্বাচন, তার আগে এই ‘বিহারের নম্বর প্লেট’ লাগানো বাইক ঘিরে বিতর্ক ছড়িয়েছে বর্ধমানে। সেখানে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে পরপর রাখা রয়েছে এই বাইকগুলি। কিন্তু কেন? তৃণমূল ইঙ্গিত দিচ্ছে ষড়যন্ত্রের। গেরুয়া শিবির উড়িয়ে দিচ্ছে ফুৎকার দিয়ে।

শনিবার বর্ধমান স্টেশনের পূর্বাঞ্চলীয় রেলওয়ে পার্সেল অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, বিহারের রাজেন্দ্রনগর থেকে প্রায় ৫৫টি বাইক আনিয়েছে বিজেপি। সবগুলি জেলার পার্টি অফিসে রয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাইকগুলির সম্পূর্ণ নথি-তথ্য প্রকাশ না করা পর্যন্ত কোনওভাবেই সেগুলি রাস্তায় নামতে দেবে না তাঁরা এমনকি কোন উদ্দেশ্য পূরণে এতগুলি বাইক আনা হয়েছে, সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলে ঘাসফুল শিবির।

এদিন তৃণমূল নেতা তন্ময় সিংহ রায় বলেন, ‘বিহার থেকে ৫৫টি বাইক আনা হয়েছে। সুনীল গুপ্তার নামে বাইকগুলি আনা হয়েছে। আমরা খবর পেয়েই এখানে এসেছি। রেল প্রশাসনের কাছে বাইকগুলির তথ্য চেয়েছি। বাংলায় তো এত শোরুম, বিহার থেকে কেন আনাতে হল? আজ বাইক আসছে, আগামিকাল দুষ্কৃতী আসবে।’ একই সুর রাজ্যের প্রথমসারির নেতাদেরও। রবিবার তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘কে আনল, কেন আনল, কীভাবে ব্যবহার করা হবে সবটাই অনুমান করা যেতে পারে। বিজেপি কী শুরু করতে চলেছে তা মানুষই বিচার করুক।’

তবে এত অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি। পার্টির কাজেই বাইক আনা হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। এদিন স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবজ্যোতি সিংহ রায় বলেন, ‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিহারে ভোট হয়েছিল। সেই সময় সেখানে আমাদের কর্মীদের দলীয় কাজে ব্যবহারের জন্য বাইক দেওয়া হয়েছিল। এখন বাংলায় ভোট আসছে, তাই বাইকগুলি এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। প্রত্যেক নির্বাচনের সময়ই আনা হয়।’ অবশ্য, ‘পার্টির কাজের’ যুক্তিকে উড়িয়ে দিয়েছেন কুণাল। বাইকবাহিনী নিয়ে দাপাদাপি হতে পারে বলেই ইঙ্গিত তাঁর। কুণালের কথায়, ‘এটা তো একজনের নামে এসেছে। আরও কত রয়েছে কে জানে! বিহারের পর বাংলায় নানা ধরনের বাইকবাহিনীর জন্য এনেছে হয়তো।’