ফাইল চিত্র
নয়া দিল্লি: ক্রমেই হাত লম্বা হচ্ছে প্রতারকদের। একটা ফোন কল বা এসএমএসের মাধ্যমেই চোখের নিমেষে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। বিশেষ করে বয়স্করাই এধরনের প্রতারণার (Bank Fraud) শিকার হচ্ছেন। কীভাবে প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, তা নিয়ে ভেবে কূল পাচ্ছেন না কেউই। এবার স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া(State Bank of India)-র তরফেই সতর্ক করা হল গ্রাহক ও নাগরিকদের। এসবিআই-র তরফে জানানো হয়েছে, নির্দিষ্ট কয়েকটি ফোন নম্বর এড়িয়ে চললেই ব্যাঙ্ক প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। কেওয়াইসি (KYC Update) আপডেটের নাম করে মেসেজে যে লিঙ্কগুলি পাঠানো হয়, তাও এড়িয়ে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান সময়ে অনলাইন প্রতারণা খুবই সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এই কারণেই এসবিআইয়ের তরফে প্রতারকদের থেকে সাবধান থাকতে বেশ কিছু পদ্ধতি অনুসরণের কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতিই স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে টুইট করে বলা হয়েছে, “এসবিআই গ্রাহকদের কাছে এই দুটি নম্বর থেকে ফোন আসছে, এগুলি নম্বরগুলি হল +৯১-৮২৯৪৭১০৯৪৬ এবং +৯১-৭৩৬২৯৫১৯৭৩। এই নম্বর থেকে ফোন এলে বা কেউ যদি বলেন যে এসবিআই থেকে কেওয়াইসি আপডেটের জন্য বলা হচ্ছে, তবে সেই কথায় বিশ্বাস করবেন না এবং কোনও লিঙ্কে ক্লিক করবেন না। কারণ এসবিআইয়ের তরফে এই ধরনের কোনও আপডেটের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। সমস্ত গ্রাহকদের অনুরোধ করা হচ্ছে যে তারা যেন এইধরনের কোনও ফোন ধরবেন না বা কোনও লিঙ্কে ক্লিক করবেন না।”
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারির সময় থেকেই অনলাইনে প্রতারণার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই ৪ হাজারেরও বেশি অনলাইন প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রতারকরা নানা পদ্ধতিতে গ্রাহকদের বোকা বানিয়ে কষ্টোর্জিত টাকা চুরি করে নিচ্ছে। সেই কারণেই এসবিআইয়ের তরফে এই ধরনের প্রতারণামূলক ফোন বা মেসেজ এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়েছে।
এসবিআইয়ের তরফে ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের ইমেইল করেও জানানো হয়েছে যে, যদি কোনও গ্রাহকের কাছে প্রতারণামূলক ফোন বা মেসেজ আসে, তবে তারা ব্যাঙ্কের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন। report.phishing@sbi.co.in- এই ইমেইল আইডিতে অভিযোগ জানানো যাবে।
এছাড়া যদি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে অস্বাভাবিক কোনও গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়, তবে সরাসরি ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Personal Car: আপনি কি গাড়ির পিছনে অপ্রয়োজনীয় খরচ করছেন?