Share Market Will Be Bounced Back: বাজার থেকে এখনই বেরচ্ছেন? ‘…তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে’, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞ!
Indian Share Market: বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা ভারতের বাজারকে খুব কাছ থেকে নিরীক্ষণ করছে। "ভারতের বাজারে দীর্ঘ দিন ধরে বিনিয়োগ রাখতে চাওয়া বিভিন্ন ফান্ড বিনিয়োগের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। বাজারের ভ্যালুয়েশন একটু সঠিক হলেই তারা বিনিয়োগের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে", বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

ভারতের বাজার গত ২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘতম পতন দেখেছে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৫ দিনের মধ্যেই। যদি ‘হিস্টোরিক্যাল ডেটা’ বাজারের উত্থান বা পতনের একটা ইঙ্গিত বহন করে তবে ৮৮ শতাংশ নিশ্চিত যে এই সপ্তাহেই বাউন্স ব্যাক করবে বাজার। আর এমনটা বলছেন বিশেষজ্ঞরাই।
স্যামকো (SAMCO) সিকিওরিটিজের তথ্য অনুযায়ী টানা ৭ দিনের বেশি পড়েছে নিফটি ৫০, ২০১২ সালের পর এমন ঘটনা ঘটেছে ১৭ বার। আর তথ্য বলছে এমন পতনের পরবর্তী সপ্তাহেই এই সূচকগুলোই গড়ে ১.৬ শতাংশ রিটার্ন দিয়েছে। আর এক মাসের হিসাব ধরলে এই রিটার্নের পরিমাণ ১.৮ শতাংশ।
দেশের দুই বেঞ্চমার্ক সূচক নিফটি ৫০ আর বিএসই সেনসেক্স টানা ৮ দিন পড়েছে। ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত ৩.৪১ শতাংশ বা ৮১০ পয়েন্ট পড়েছে নিফটি ৫০। এই একই সময়ে ৩.৩৭ শতাংশ বা ২,৬৪৪ পয়েন্ট পড়েছে বিএসই সেনসেক্স।
স্যামকো সিকিওরিটিজের রিসার্চ অ্যানালিস্ট সিদ্দেশ মেহতা বলেন, “যদিও সবচেয়ে নীচে কখন নামবে তা বোঝা মুশকিল, কিন্তু হিস্টোরিক্যাল ডেটা বলছে এমন টানা পড়ার পর নিফটি ৫০ একটা স্বল্পমেয়াদি বাউন্স ব্যাক করে”। তিনি আরও যোগ করেন, “২৩,৫০০ থেকে ২৩,৮০০-এর মধ্যে নিফটি ৫০-র জন্য একটা সাপোর্ট রয়েছে। এই জায়গায় কোনও ছোটখাট ভুল সূচকের পতনকে তরান্বিত যেমন করতে পারে। তেমনই সূচকের পতন ঠেকানোর জন্য একটা এই জায়গায় একটা প্রতিরোধ লক্ষ করা যায়।
বর্তমানের এই অবস্থা বেঞ্চমার্ক সূচকগুলোকে যতটা না প্রভাবিত করেছে, সমগ্র বাজারের হাল আরও খারাপ করে দিয়েছে। গত ১ সপ্তাহে নিফটি স্মল ক্যাপ ১০০ পড়েছে ৯.৪১ শতাংশ। অন্যদিকে, মিড ক্যাপ ১০০ পড়েছে ৭.৩৮ শতাংশ। অন্যদিকে, বেঞ্চমার্ক সূচক নিফটি ৫০ পড়েছে ২.৬৮ শতাংশ।
টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর
“যখনিই নিফটি ২০০ দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছুঁয়ে ফেলে তারপরই সূচক একটা দারুণ বাউন্স ব্যাক দেখা যায়। বাজারের লিক্যুইডিটি এই অবস্থাকে দারুণভাবে সাপোর্ট করে”, বলছেন ওয়েলথ মিলস সিকিওরিটিজের ইক্যুইটি স্ট্র্যাটেজির ডিরেক্টর ক্রান্তি বাথিনি।
বিশ্বব্যাপি নানা ঘটনার প্রভাবও পড়ছে ভারতের শেয়ার বাজারে। তবে শুধু ভারতেরই নয়, বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের বাজারে এই প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। বাথিনি আরও বলেন, “বৈশ্বিক বাজারের প্রভাব দেখা যাচ্ছে ভারতের বাজারে। আমরা আসলে গোটা বিশ্বে বাজারের সঙ্গে ভারতের বাজারের যে ফাঁকটা তৈরি হচ্ছে, সেটা সম্পর্কে বলছি। আসলে কিন্তু তেমন কিছুই হচ্ছে না। বিশ্বের বাজারে আসলে ভারতের বাজারকে প্রবলভাবে প্রভাবিত করছে”।
বিদেশি পোর্টফোলিও বিনিয়োগকারীরা ভারতের বাজারকে খুব কাছ থেকে নিরীক্ষণ করছে। “ভারতের বাজারে দীর্ঘ দিন ধরে বিনিয়োগ রাখতে চাওয়া বিভিন্ন ফান্ড বিনিয়োগের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। বাজারের ভ্যালুয়েশন একটু সঠিক হলেই তারা বিনিয়োগের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়বে”, যোগ করেন বাথিনি।
২০১২ থেকে আজ পর্যন্ত সংগৃহীত তথ্যের অ্যানালিসিস করেছে স্যামকো সিকিওরিটিজ। আর সেই হিস্টোরিক্যাল ডেটা অনুযায়ী এই সপ্তাহে ভারতের বাজারের বাউন্স ব্যাক করার সম্ভাবনা ৮৮ শতাংশ। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন বর্তমান পরিস্থিতিতে বাহ্যিক ঝুঁকি ও পরিকাঠামোগত বাধা সমূহকে যেন উপেক্ষা না করা হয়।
কোনও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও অ্যানালিসিস করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।





