Stock Market: শেয়ার বাজারে ১৭৩ কোটির দুর্নীতি, কীভাবে ধরল সেবি?
SEBI: এবার ভারতের সিকিওরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড বা SEBI এমনই একটা কেলেঙ্কারির কথা ফাঁস করেছে। প্রায় ১৭৩ কোটির বেশি টাকার এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়েছে ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জ বা IEX-এর নাম।

ভারতের শেয়ার বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং করা আইনত বৈধ নয়। কিন্তু তাও অনেক সময় শোনা যায় এমন ইনসাইডার ট্রেডিংয়ের কথা। কিন্তু এবার ভারতের সিকিওরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড বা SEBI এমনই একটা কেলেঙ্কারির কথা ফাঁস করেছে। প্রায় ১৭৩ কোটির বেশি টাকার এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িয়েছে ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জ বা IEX-এর নাম।
গত ২৪ জুলাই ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জের শেয়ারের দাম এক ধাক্কায় পড়ে যায় প্রায় ৩০ শতাংশ। আর তারপরই শুরু হয় এই তদন্ত। কিন্তু এমন নির্মমভাবে কেন পড়ে গেল এই শেয়ারের দাম?
এই ঘটনা ঘটার আগের দিন অর্থাৎ, ২৩ জুলাই সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ বা CERC ‘মার্কেট কাপলিং’ নীতি ঘোষণা করে। আর এই নীতির ফলেই ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জের একচেটিয়া ব্যবসায় একটা ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। আর এটাই যেন ছিল দুর্নীতির মূল চাবিকাঠি।
অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের এক শীর্ষ কর্তা যাঁর নাম, যোগিতা এস মেহরা, তিনি এই গোপন তথ্য পাচার করেন। আর এই ঘটনার তদন্তে ভুবন সিং নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে মিস্টার মেহরার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে।
এই খবর জানার সঙ্গে সঙ্গেই অভিযুক্তরা ইন্ডিয়ান এনার্জি এক্সচেঞ্জের পুট অপশন কেনা শুরু করে। স্টক ক্র্যাশ করার পর ৭ টাকার পুট অপশনের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৫৪ টাকা। আর এর মাধ্যমে একা ভুবন সিং লাভ করেন প্রায় ৭২ কোটি টাকা।
কিন্তু এই ঘটনায় ভুবন সিং একা অভিযুক্ত নন। মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে। কারা এই ৮ জন অভিযুক্ত? সেবি তার অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে এই ৮ অভিযুক্তকে শেয়ার বাজার থেকে নিষিদ্ধ করেছে। তাঁরা হলেন: ভুবন সিং, অমরজিৎ সিং সোরান, অমিতা সোরান, অনিতা, নরেন্দ্র কুমার, বীরেন্দ্র সিং, বিন্দু শর্মা, সঞ্জীব কুমার।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেবির এই পদক্ষেপ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে সাহায্য করবে। তবে এই ঘটনা প্রমাণ করে যে বাজারের গভীরে দুর্নীতি এখনও কতটা সক্রিয়।
