Vedanta stock: এই শেয়ার যেন ‘সোনার ডিম’, বলে বলে গোল দেয় ফিক্সড ডিপোজিটকে

যেমন ধরুন, বেদান্তা শেয়ার (Vedanta stock)। খনিজ সম্পদ উত্তোলনকারী সংস্থা। এই ক্ষেত্রে একচেটিয়া ব্যবসা তার। এই মুহূর্তে এই শেয়ার সব থেকে বেশি ডিভিডেন্ড প্রদান করে

Vedanta stock: এই শেয়ার যেন ‘সোনার ডিম’, বলে বলে গোল দেয় ফিক্সড ডিপোজিটকে
প্রতীকী ছবিImage Credit source: Pixabey
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 02, 2023 | 11:02 AM

ফিক্সড ডিপোজিটে সর্বোচ্চ সুদ পাওয়া যাচ্ছে এই মুহূর্তে । প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ পর্যন্ত। যা এ যাবৎকালে সুদের হার শিখরে বলে মনে করা হচ্ছে। এর পর আর কতটা উঠবে আদৌ সুনিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এরপর সুদের হার বাড়ার থেকে ক্রমশ নীচে আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফিক্সড ডিপোজিটে বিনিয়োগের বিকল্প উপায় কী? অর্থনৈতিক পরামর্শদাতাদের মতে, ফিক্সড ডিপোজিটের (Fixed Deposit) বিকল্প বিনিয়োগ ক্ষেত্র হতে পারে উচ্চ ডিভিডেন্ট প্রদানকারী শেয়ার। যে সব শেয়ার (Share) প্রতিবছর নিয়ম করে মোটা অঙ্কের ডিভিডেন্ড দিয়ে আসছে। কখনও কখনও ফিক্সড ডিপোজিটের থেকেও বেশি ডিভিডেন্ড (Dividend)  দিচ্ছে।

যেমন ধরুন, বেদান্তা শেয়ার (Vedanta stock)। খনিজ সম্পদ উত্তোলনকারী সংস্থা। এই ক্ষেত্রে একচেটিয়া ব্যবসা তার। এই মুহূর্তে এই শেয়ার সব থেকে বেশি ডিভিডেন্ড প্রদান করে। বেদান্তার ডিভিডেন্ড ইল্ড ৪৫.৩৬ শতাংশ। চলতি মাসে এখনও পর্যন্ত ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ৩ বার অন্তর্বতীকালীন ডিভিডেন্ড প্রদান করেছে বেদান্তা। যার মূল্য ৫১.৫০ টাকা। অর্থাৎ আপনার কাছে যদি ২২৩ টাকার মূল্যের ১০টি শেয়ার থাকে, ইতিমধ্যেই ১০x৫১.৫০= ৫১৫ টাকা ডিভিডেন্ড পেয়ে থাকবেন। ২২৩০ টাকা বিনিয়োগ করে ৫১৫ টাকা ডিভিডেন্ড, তা-ও আবার ৪ মাসে।

উচ্চ হারে ডিভিডেন্ড দেওয়ার ইতিহাস রয়েছে বেদান্তার। ২০১৭ সাল থেকে দেখা গিয়েছে শেয়ার পিছু ১৭টাকা করে ডিভিডেন্ড দিয়েছে। কখনও ৩১ টাকা পর্যন্তও ডিভিডেন্ড দিয়েছে এই শেয়ারটি। উল্লেখ্য, গত বছরের তুলনায় প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বেশি মুনাফা করেছে বেদান্তা। তবে, নেট প্রফিট অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। ২০২২ সালে লাভ করেছিল ২৩৭০৯ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে এখনও পর্যন্ত লাভ হয়েছে ১৪৫০৬ কোটি টাকা। আদৌ ২০২২ সালের লাভের অঙ্ক ছুঁতে পারবে কিনা সন্দেহে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

বেদান্তার সবচেয়ে বড় নেতিবাচক দিক হল অংশীদারিত্বে প্রোমোটার ৬৩.৭১ শতাংশ শেয়ার প্লেজিং করে রেখেছে। পাবলিক অংশীদারি হাতে রয়েছে ১৭.৭৪ শতাংশ। গত ত্রৈমাসিকে যা ছিল ১৪.২৯ শতাংশ।