Vodafone: সরকার সাহায্য না করলে ‘জিরো’ হয়ে যাব, বছর ঘুরলেই বন্ধ ব্যবসা! বড় আশঙ্কা ভোডাফোনের
Vodafone: ভোডাফোন আইডিয়ার বকেয়া ৩৬,৯৫০ কোটি টাকার ঋণকে অংশীদারিতে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত আগে নিয়ে ফেলেছে কেন্দ্র সরকার। ফলে এই সংস্থায় সরকারের ‘স্টেক’ ২২.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮.৯৯ শতাংশ। কিন্তু তারপরেও কেন এই অবস্থা?

কলকাতা: আমরা আর বাঁচব না। শীঘ্রই দেউলিয়া হয়ে যাব। সরকার পাশে না দাঁড়ালে ব্যবসাই গুটিয়ে ফেলতে হবে। নিজেই বলছে ভোডাফোন। তাতেই জোর শোরগোল টেলিকম সেক্টরে। ভোডাফনের আশঙ্কা যা অবস্থা তা যদি চলতে থাকে তাহলে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের পর দেশে তাঁদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। এখন সমস্যা সমাধানের ন্যাশনাল কোম্পানি ল ট্রাইবুনালের (NCLT) এর কাছে যাওয়া ছাড়া কোনও গতি নেই।
প্রসঙ্গত, ভোডাফোন আইডিয়ার (ভি) বকেয়া ৩৬,৯৫০ কোটি টাকার ঋণকে অংশীদারিতে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত আগে নিয়ে ফেলেছে কেন্দ্র সরকার। ফলে এই সংস্থায় সরকারের ‘স্টেক’ ২২.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮.৯৯ শতাংশ। এই সিদ্ধান্ত যখন গ্রহণ করা হয়েছিল, তখন অনেকেই বলেছিলেন ঋণে ডুবে থাকা ভি-এর নগদ পুঁজির সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে। কিন্তু এখন ভোডাফোন বলছে, সরকারের সমর্থন ছাড়া সরকারের ইক্যুইটি স্টেকের অঙ্ক এক্কেবারে ‘জিরো’ হয়ে যাবে। আর এর ফলে স্পেকট্রামের ক্ষেত্রে যে ১.১৮ লক্ষ কোটি বকেয়া রয়েছে তা আর তোলা সম্ভব হবে না।
৮৩,৪০০ কোটি টাকার বকেয়ার উপর গ্রস রেভিনিউ (এজিআর) এর হিসেব-নিকেশ শেষে সুদ, জরিমানা এবং জরিমানার উপর সুদ বাবদ ভোডাফোনের বকেয়া ৪৫,০০০ কোটি টাকারও বেশি। সেটাই এখন মুকুবের দাবি করছে ভোডাফোন। তাঁদের পাহাড় প্রমাণ ঋণই নতুন ঋণ পেতে অন্তরায় হয়ে উঠছে। পাশে দাঁড়াচ্ছে না কোনও ব্যাঙ্ক। সরকার মার্চ মাসে কোম্পানির অতিরিক্ত ৩৬,৯৫০ কোটি টাকার বকেয়া ইক্যুইটিতে রূপান্তর করার পরেও অবস্থার বিশেষ বদল হয়নি।
ভোডাফোনের দাবি, ইক্যুটির মাধ্যমে তাঁদের ঘরে ২৬০০০ হাজার কোটি এলেও, সরকারের স্টেক থেকে টাকা ঢুকলেও ব্যঙ্কগুলি তাঁদের পাশে কোনওভাবেই দাঁড়াচ্ছে না। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত এই সংস্থার গ্রাহক সংখ্যা বিগত কয়েকদিনে অনেকটাই কমে গিয়েছে। এখন সরকার সাহায্য না করলে জিরো হয়ে যাবে ভোডাফোন, নিজেই বলছে ভোডাফোন। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত জল কোনদিকে গড়ায়।





