
কলকাতা: ভারতের বীরত্ব দেখেছে গোটা বিশ্ব। ভারতীয় সেনার পরাক্রম, ভারতীয় সেনার অত্য়াধুনিক হাতিয়ার, বিশ্বমানের সমরাস্ত্রের ব্যবহার দেখে চমকে গিয়েছে তাবড় তাবড় ক্ষমতাধর দেশেরা। ভারতীয় সেনার বিক্রমে ধরাশায়ী পাক সেনা। ইতিমধ্যেই ভারতের অস্ত্র কিনতে লাইন দিচ্ছে প্রথম বিশ্বের একাধিক দেশ। এদিকে ভারতীয় সেনার গৌরব গাঁথা যত ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের দরবার ততই ফুলেফেঁপে উঠেছে ভারতের ডিফেন্স সেক্টরের স্টকগুলি। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরি করে, অস্ত্র বানায় এমন একাধিক সংস্থার স্টকের দাম হু হু করে বেড়েছে বিগত কয়েকদিনে।
তবে ভারতের প্রতি গোটা বিশ্বের আকর্ষণ যে বাড়ছে তা বেশ কিছু সাম্প্রতিক পরিসংখ্য়ানেই স্পষ্ট। তথ্য বলছে, ২০১৩-১৪ অর্থবর্ষে ভারত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম রপ্তানি করে ঘরে তুলেছিল ৬৮৬ কোটি টাকা। যা ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ৩৪ গুণ বেড়ে ২৩,৬২২ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। যা ২০২৯ সালের মধ্যে ৫০ হাজার কোটিতে নিয়ে যেতে চাইছে ভারত।
গত তিন মাসে নিফটি ইন্ডিয়ার ডিফেন্স সূচক ৩০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, গোটা বিশ্ব ভারতীয় ডিফেন্সের বিশ্বযোগ্যতা বৃদ্ধিই এর মূল কারণ। বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে যা অবস্থা তাতে ভারতের প্রধান ডিফেন্স স্টকগুলির মধ্যে কোচি শিপইয়ার্ড, পারাস ডিফেন্স, মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্স, ভারত ডায়নামিক্স, ভারত ইলেকট্রনিক্স এবং হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স, ভালো ব্যবসা করার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং বলছেন ডিফেন্স সেক্টরে আগের থেকে অনেক বেশি আত্মনির্ভর হয়েছে ভারত। সামরিক ক্ষেত্রে গোটা বিশ্ব আঙিনায় ভারতের এই উত্থান পুরোটাই আত্মনির্ভর ভারতের ফসল। নিজস্ব প্রযুক্তিতে অত্যাধুনিক বিশ্বমানের সমরাস্ত্র তৈরি করে গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়েছে ভারত। তার জেরে একাধারে ভারতের বিশ্বযোগ্যতা যেমন বেড়েছে, তেমনই বিদেশি বিনিয়োগকারীদেরও নজরে পড়েছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।