কলকাতা: বিগত কয়েক মাসে একাধিক সময় তৈরি হয়েছে নিত্য-নতুন রেকর্ড। নতুন নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে নিফটি, সেনসেক্স। কিন্তু, শুক্রবার দিনভর বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়েছে দালাল স্ট্রিট। শুধু এদিনই বিনিয়োগকারীরা ২.৫১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে। সেনসেক্স কমেছে ৭৯৩ পয়েন্ট।নিফটিতেও ১ শতাংশের বেশি পতন দেখা গিয়েছে। কিন্তু কেন? কী বলছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশার সব সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। যার স্পষ্ট ছাপ পড়ছে স্টক মার্কেটে। ফেডারেল রিজার্ভ জুনের শুরুতে সুদের হার কমানো শুরু করবে। ওয়াল স্ট্রিট ব্যবসায়ীরা এখন জুনে ফেডের রেট ২৩ শতাংশ কমবে বলে আশা করছেন, যা এক সপ্তাহ আগে প্রায় ৬২ শতাংশ ছিল।
এদিকে সম্প্রতি বাজার সর্বকালের সেরা উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিল। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে সে কারণেই সতর্ক হয়েছেন বড় বিনিয়োগকারীরা। নতুন বিনিয়োগ করার বিষয়েও সাবধানী পদক্ষেপ নিচ্ছেন অনেকেই। অনেক পুরনো অলাভজনক স্টক বেচেও দিচ্ছেন অনেকে। তার ছাপ পড়ছে শেয়ার বাজারে।
অন্যদিকে সোনা, রূপা, দস্তা, তামা, কফির মতো বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়ছে। স্যামকো সিকিউরিটিজের অপূর্ব শেঠ বলছেন, পণ্যের দাম বৃদ্ধি মানে মূদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি। মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের কাছে সুদের হার বাড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। যেভাবে বাড়ছে অপরিশোধিত তেলের দাম। অর্থাৎ আগামী দিনে আন্তর্জাতিক বাজারে উচ্চ মূদ্রাস্ফীতির ছবি দেখা যেতে পারে। তার ছাপ পড়ছে দালাল স্ট্রিটে। একইসঙ্গে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা লাগাতার স্মল ক্যাপ ও মিড ক্যাপ ফান্ড বিক্রি শুরু করাতেও তার কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব দালাল স্ট্রিটে পড়ছে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
বিঃ দ্রঃ – শেয়ার বাজারের বিনিয়োগ সর্বদাই ঝুঁকিুপূর্ণ। এখানে বিনিয়োগের কোনও নির্দিষ্ট ফর্মূলা নেই। তাই এখানে বিনিয়োগ নিজের দায়িত্বে করা উচিত।