
সারাজীবন কষ্ট করে অর্থ উপার্জনের পরও মানুষের মনে দুশ্চিন্তা থাকে যে অবসরকালে তাঁর কীভাবে চলবে? দৈনন্দিন রাহা-খরচ নির্বাহের জন্য অর্থ কোথা থেকে আসবে? কিন্তু কোনও ব্যক্তি যদি সঠিক উপায়ে বিনিয়োগ করেন, তাহলে ৬০ বছর হওয়ার সময় তাঁর হাতে যথেষ্ট পরিমান অর্থ থাকবে ও সেই অর্থে তাঁর অবসর যাপন হবে দুর্দান্ত ভাবেই।
কিন্তু কী সেই উপায়? কোনও ব্যক্তি যদি প্রতি মাসে অন্তত ১০ হাজার টাকা এসআইপি করে, তাহলে বছরে তিনি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জমিয়ে ফেলবেন। জমাবেন কোথায়? ইনডেক্স মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ অন্য কোনও মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের তুলনায় অনেক বেশি নিরাপদ। ফলে ধরে নেওয়া যেতে পারে যে, কোনও মিউচুয়াল ফান্ডে মাসিক ১০ হাজার টাকা করে বিনিয়োগ শুরু করা হল।
তাহলে ১৫ বছর পর ওই ব্যক্তির মোট বিনিয়োগ দাঁড়াবে ১৮ লক্ষ টাকায়। যে কোনও ইনডেক্স ফান্ড গড়ে মোটামুটি ১১.৫ শতাংশ রিটার্ন দেয় ধরে নিলে ১৫ বছর পর ওই ব্যক্তির বিনিয়োগ ও রিটার্নের সম্মিলিত পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকায়।
ওই ব্যাক্তি যদি এসআইপির টাকার অঙ্ক প্রতি বছর অন্তত ১৫ শতাংশ হারে বাড়াতে থাকেন, তাহলে ১৫ বছর শেষে তাঁর বিনিয়োগ ও রিটার্নের সম্মিলিত অঙ্ক হবে ১ কোটি ১৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা।
অর্থাৎ বিনিয়োগ শুরু করার ১৫ বছর পর বিনিয়োগকারীর সম্পদের পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এই অবস্থায় বিনিয়োগকারী যদি প্রতি মাসে ১ লক্ষ ৮ হাজার ২৪৪ টাকা করে ওই মিউচুয়াল ফান্ড থেকে তুলে নিতে শুরু করেন তাহলে, ওই টাকায় বিনিয়োগকারীর চলবে আরও ৩০ বছর।
কোনও ব্যক্তির আজ যদি ৪৫ বছর বয়স হয় তাহলে তিনি এই ফর্মুলায় বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। তাতে ৬০ বছর বয়সে তাঁর অবসর গ্রহণের পরও তাঁর হাতে যে পরিমাণ টাকা থাকবে বা মুদ্রাস্ফীতি অ্যাডজাস্ট করলেও আজকের ৪৭ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকার সমান।
বিনিয়োগকারীর বয়স যদি আরও কম হয় তাহলে সেই ব্যক্তি হাতে আরও অনেক বেশি সময় পাবেন যাতে তাঁর মোট বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পাবে। ফলে, অবসরকালে সেই বিনিয়োগকারীর হাতে আরও অনেক বেশি টাকা থাকবে।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই ভিডিয়ো শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।