Career after 12th: বেতন হবে লাখে, দ্বাদশ শ্রেণির পরই ঝাঁপান পাইলট হওয়ার জন্য

Career as a pilot: দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষার পর আপনি যদি এমন কিছু করতে চান, যাতে আপনি লক্ষাধিক বেতন পেতে পারেন, তবে আপনি একজন পাইলট হিসেবে কেরিয়ার গড়ার কথা ভাবতে পারেন। পাবেন দেশ বিদেশে ঘোরার দারুণ সুযোগও।

Career after 12th: বেতন হবে লাখে, দ্বাদশ শ্রেণির পরই ঝাঁপান পাইলট হওয়ার জন্য
প্রতীকী ছবি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 16, 2023 | 10:22 PM

কলকাতা: ছোটবেলা থেকেই আমরা সবাই নিজেদের কেরিয়ার নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করি। কেউ ডাক্তার হতে চায়, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ সিএ, কেউ আইএএস, আবার কেউ কেউ মাথার উপর দিয়ে বিমান উড়ে যেতে দেখে পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখে। আপনিও যদি পাইলট হওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন তাহলে ক্লাস টুয়েলভের বোর্ড পরীক্ষা পাস করেই এই ফিল্ডের জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন। আপনার যদি বিদেশ ভ্রমণের শখ থাকে, তাহলে এই কেরিয়ার বিকল্পটি আপনার জন্য আরও বেশি কার্যকর হতে পারে। পাইলট হওয়ার পর দেশ-বিদেশে ভ্রমণের পাশাপাশি পাবেন আকর্ষণীয় বেতন। এই ক্ষেত্রে আপনি বেসরকারির পাশাপাশি সরকারি খাতেও প্রচুর সুযোগ পাবেন।

ক্লাস টুয়েলভের পরীক্ষার পরই শুরু করুন প্রস্তুতি

পাইলট হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং গণিত বিষয়ে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর-সহ দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা পাস করতে হবে। এরপর, কোনও একটি এভিয়েশন ইনস্টিটিউটে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর, আপনার মেডিকেল পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। পুরো প্রক্রিয়ায় সফলরা সেই এভিয়েশন ইনস্টিটিউটে ভর্তির সুযোগ পাবে এবং তাদের বিমান ওড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

পাইলট হতে পারেন বায়ুসেনায়

আপনি যদি ভারতীয় বায়ুসেনায় পাইলট হতে চান, তাহলে আপনাকে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার পর, ইউপিএসসি এনডিএ (UPSC NDA) পরীক্ষা, এয়ার ফোর্স কমন অ্যাডমিশন টেস্ট (AFCAT), এনসিসি স্পেশাল এন্ট্রি স্কিম পরীক্ষায় পাস করতে হবে। এর পরে, আপনাকে ভারতীয় বায়ুসেনা পাইলট হওয়ার প্রশিক্ষণ দেবে। এছাড়াও, আপনি ভারতীয় বায়ুসেনায় পাইলট হওয়ার জন্য কম্বাইন্ড ডিফেন্স সার্ভিসেস এক্সাম (CDS)-ও দিতে পারেন। এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের পদার্থবিদ্যা এবং গণিত বিষয় নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে অথবা বিই (BE) বা বিটেক (B.Tech) ডিগ্রি থাকতে হবে।

কীভাবে কমার্শিয়াল পাইলট হওয়া যায়?

দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার পর, আপনি একটি এভিয়েশন ইনস্টিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কমার্শিয়াল পাইলট হতে পারেন। কমার্শিয়াল পাইলটের প্রশিক্ষণের জন্য ১৮ থেকে ২৪ মাস সময় লাগে। এর পর আপনাকে ফিটনেস পরীক্ষা এবং কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্সের (CPL) লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে। সিপিএল পাস করলেই আপনি বাণিজ্যিক বিমান ওড়ানোর যোগ্যতা অর্জন করবেন।

বেতন হবে লাখে

পাইলট হলে মাসে বেতন পেতে পারেন লাখ টাকা। একজন এয়ারফোর্স অফিসারের বেতন শুরু হয় ৫৬,১০০ টাকা থেকে। ফ্লাইং অফিসাররা ৫৬,১০০ থেকে ১,১০,৭০০ টাকা পর্যন্ত বেতন পান। এছাড়া আপনি যদি কমার্শিয়াল পাইলট হন, তাহলে আপনার মাসিক বেতন হতে পারে ১ লক্ষ টাকার বেশি। অভিজ্ঞতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেতনও বাড়তে থাকে।