AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jobs Interview: চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন? এই ১০ প্রশ্নেই হতে পারে কেল্লাফতে

Jobs Interview: চাকরির ইন্টারভিউয়ে নিজেকে সেরা প্রমাণ করার লড়াই চলতেই থাকে সব চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে। সেক্ষেত্রে নিজের ব্যতিক্রমী অথচ আকর্ষণীয় গুণগুলি ইন্টারভিউয়ে হাইলাইট করতে হবে প্রার্থীদের।

Jobs Interview: চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন? এই ১০ প্রশ্নেই হতে পারে কেল্লাফতে
প্রতীকী ছবি
| Edited By: | Updated on: Apr 24, 2023 | 8:30 AM
Share

পড়াশোনার শেষ করেই বেশিরভাগ মানুষ চাকরির খোঁজ শুরু করেন। শুধু তাই নয়, এক চাকরি থেকে অন্য চাকরিতেও অনেকেই যান। তাই গোটা দেশে চাকরি প্রার্থীর সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। ২ টি শূন্যপদের জন্য ২ হাজার জন চাকরি প্রার্থী লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। এই দৌড়ে নিজেকে সেরার সেরা প্রমাণ করতে না পারলে ভাগ্যে চাকরি থাকাই মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। এবার চাকরি মানেই ইন্টারভিউ প্যানেলে কঠিন প্রশ্নের মুখোমুখি। তবে প্রশ্নের উত্তর জানা না থাকলেও তা কখনোই উল্টোদিকে বসে থাকা সাক্ষাৎকারীকে জানতে দেওয়া যাবে না। আর এরকম কোনও পরিস্থিতি এড়াতে সম্ভাব্য কিছু প্রশ্নের উত্তর আগে থাকতেই তৈরি করে রাখতে পারেন চাকরিপ্রার্থীরা। এই প্রতিবেদনে এরকম ১০ টি প্রশ্ন ও তার উত্তর নিয়ে আলোচনা করা হল।

কোনও ইন্টারভিউয়ে চাকরি প্রার্থীদের সবার প্রথম যে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তা হল নিজের সম্বন্ধে কিছু বলুন। এর সম্ভাব্য উত্তর দেখে নিন:

এক্ষেত্রে উত্তর শুরু করুন নিজের ব্র্য়াকগ্রাউন্ড দিয়ে বা কীভাবে কেরিয়ার শুরু করেছেন বা বর্তমানে কী করছেন। কর্মজীবনের কৃতিত্বগুলিকে হাইলাইট করুন। কেরিয়ারে বড় কোনও পদক্ষেপ করলে তাও উল্লেখ করতে ভুলবেন না। আর ভবিষ্যতে আপনি কী কী গঠনমূলক কাজ করতে চান যা সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে মানানসই তা বলুন।

এই শূন্যপদের বিষয়ে কোথা থেকে জানলেন?

শুনতে খুব সহজ ও সাধারণ মনে হলেও অতটা সাধারণ নয় এই প্রশ্ন। সন্তোষজনক উত্তর না দিলে এই প্রশ্নের চাকরি হাতের কাছে এসে চলে যেতে পারে। কোথা থেকে এই চাকরির বিষয়ে জানতে পেরেছেন তা উল্লেখ করার পাশাপাশি এই চাকরির বিষয়ে আগ্রহী হওয়ায় আপনি নিজে এই শূন্যপদ নিয়ে গবেষণা করেছেন তা জানান।

আমাদের সংস্থা সম্বন্ধে কী কী জানেন?

যে সংস্থার জন্য ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছেন তার সম্বন্ধে ইন্টারনেটে বিস্তারিত পড়াশোনা করে নিন। একটু গভীরে গিয়ে গবেষণা করুন। যেমন, কী এই সংস্থা। কী ধরনের কাজ হয় এখানে। কোনও সংস্থা সম্বন্ধে প্রার্থী অবগত না থাকলে তাঁর চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এই পদের জন্য আপনি কেন আবেদন করেছেন?

এখানে আপনাকে বোঝাতে হবে এই শূন্যপদের জন্যই আপনি এতদিন অপেক্ষা করছিলেন। আর সংশ্লিষ্ট পদের জন্য আপনিই সেরা প্রার্থী। তবে নিজের বর্তমান সংস্থা বা বসকে নিয়ে কোনও খারাপ অভিজ্ঞতার কথা ভুলেও উল্লেখ করবেন না। বরং যে সংস্থায় ইন্টারভিউ দিচ্ছেন তার পজিটিভ দিকগুলি আপনি তুলে ধরুন।

আমরা আপনাকে কেন নেব?

আপনি বোঝানোর চেষ্টা করুন সংস্থার লাভের ক্ষেত্রে আপনি কতটা আবদান রাখতে পারবেন। আর আপনি সংশ্লিষ্ট পদের কাজ সম্বন্ধে সবটা অবগত তা প্রকাশ করুন। এই নিয়ে আপনি অনেক গবেষণাও করেছেন তা নিজের উত্তরের মাধ্যমে তুলে ধরুন। তাদের জানান, আপনি এই পদে কাজ করতে একেবারে প্রস্তুত।

আপনি নিজের বর্তমান সংস্থা কেন ছাড়তে চাইছেন?

নিজের ইচ্ছেয় ছাড়লে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে পজিটিভ উত্তর দিন। এই সংস্থা থেকে আরও ভাল সুযোগের জন্য আপনি এই চাকরি বদলাচ্ছেন তা উল্লেখ করতে পারেন।

আপনার কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় শক্তি কী?

এই প্রশ্নে নিজের সেরাটা দিন। কোন কোন ক্ষেত্রে আপনি অনবদ্য, অন্যদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন তা তুলে ধরুন। আর আপনি যে পদের জন্য আবেদন করেছেন তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ আপনার গুণ ও দক্ষতাগুলি উল্লেখ করুন।

কাজের ক্ষেত্রে কীরকম প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়েছেন এবং কীভাবে এর সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন?

কাজের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন তা বলুন স্পষ্টভাবে। আর সেই চ্যালেঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কী কী উপায় অবলম্বন করেছেন তার উল্লেখ করুন। আর শেষে সেখান থেকে প্রাপ্ত পজিটিভি ফলাফলের কথা বলুন।

কত টাকা বেতন আশা করছেন?

নিজের বিবেচনা অনুযায়ী কত টাকা পেতে পারেন তা উল্লেখ করুন।

আগামী ৫ বছরে আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান?

নিজের কাজ বা সংশ্লিষ্ট পদের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও লক্ষ্যের কথা বলুন। অবশ্যই তাতে কিছু চ্যালেঞ্জের ছোঁয়া রাখুন।

ইন্টারভিউয়ের ক্ষেত্রে এইসব প্রশ্নের উত্তর যথাসম্ভব তৈরি রাখুন। বাকিটা সংস্থার উপর নির্ভর করবে আপনার চাকরি হবে কি হবে না।

*পুনশ্চ: চাকরি পাওয়া বা না পাওয়া আপনার দক্ষতার উপর নির্ভর করে। উপরিক্ত প্রশ্নোত্তরগুলি পরামর্শ মাত্র*